বাগেরহাটের চিতলমারীতে ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে এক ধর্মীয় শিক্ষককে আটক করেছে পুলিশ। আটক ধর্মীয় শিক্ষককে বুধবার কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। ধর্ষণের শিকার হয়ে আট মাসের অন্তঃসত্বা ছাত্রীটির ডাক্তারি পরীক্ষা বাগেরহাট হাসপাতালে সম্পন্ন হয়েছে।
চিতলমারী থানা পুলিশ জানায়, পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার বাকশি গ্রামের মুজিবর শেখের পুত্র বায়জিদ শেখ গত দুুই বছর ধরে বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার বড়বাড়িয়া কাটাগাংকুল জামে মসজিদে ইমামতির পাশাপাশি গ্রামের ছেলে-মেয়েদের ধর্মীয় শিক্ষা দিয়ে আসছিলো। ইমাম বায়োজিদ ধর্মীয় শিক্ষার সুযোগে নিয়ে ওই গ্রামের ১৪ বছর বয়সী এক ছাত্রীকে কৌশলে ধর্ষণ করলে সে অন্তঃসত্বা হয়ে পড়ায় বিষয়টি পরিবারের নজরে আসে। তাকে ডাক্তারের কাছে নেওয়া হলে বিষয়টি ধরা পড়ার পর জিজ্ঞাসাবাদে ওই ছাত্রী জানায়, বিভিন্ন কৌশলে ভয়-ভীতি দেখিয়ে ইমাম বায়জিদ তাকে একধিকবার ধর্ষণ করেছে। বিষয়টি লজ্জার ভয়ে ওই ছাত্রী এতোদিন কাউকে জানাতে পারেনি। এঘটনা পর ছাত্রীটির পরিবারের পক্ষ থেকে ইমাম বায়োজিদকে আসামি করে চিতলমারী থানায় মামলা করা হলে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ওই ইমামকে আটক করে পুলিশ।
আটক ইমামকে আদালতে পাঠানো হলে বিচারক তাকে কারাগাওে পাঠাবার নির্দেশ দেয়। আট মাসের অন্তঃসত্বা ছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষা বুধবার দুপুরে বাগেরহাট হাসপাতালে সম্পন্ন হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/ ০৩ আগষ্ট ২০১৬/ সালাহ উদ্দীন