ঝিনাইদহ শহরের হামদহ খন্দকার পাড়ার নিখোঁজ শিক্ষক মিনারুল ইসলামকে (৩০) অস্ত্রসহ আটকের দাবি করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার ভোর রাতে শহরের বাস টার্মিনাল এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। তিনি সদর উপজেলার খামারাইল গ্রামের মৃত ইউসুচ আলী খন্দকারের ছেলে ও শহরের আদর্শপাড়ার কচাতলা লিড ইন্টারন্যাশনাল কেজি স্কুলের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক। তবে পরিবারের দাবি, তিনি কোন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বা রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন না। শত্রুতাবশত পুুলিশকে ম্যানেজ করে তাকে অস্ত্র দিয়ে আটক করানো হয়েছে।
এদিকে দীর্ঘদিন নিখোঁজ থাকায় বুধবার দুপুরে ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে আটক শিক্ষকের পরিবার। সংবাদ সম্মেলনে মিনারুলের স্ত্রী বলেন, গত ৩০ জুলাই রাত ৩ টার দিকে পুলিশ পরিচয় দিয়ে ১৫-২০ জন ঝিনাইদহ শহরের হামদহ খন্দকার পাড়ার ভাড়া বাসা থেকে মিনারুলকে তুলে নিয়ে যায়। এরপর থেকে সে নিখোঁজ আছে। তিনি স্বামীকে ফিরে পেতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতা চান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মিনারুলের মা সুফিয়া খাতুন, বড় ভাই রোকনুজ্জামান, শিশু কন্যা বেলী ও নিকট আত্মীয়স্বজন। সংবাদ সম্মেলনের পরদিনই অস্ত্রসহ আটক হলো মিনারুল।
সদর থানার ওসি হরেন্দ্রনাথ সরকার জানান, বৃহস্পতিবার ভোর রাতে ঝিনাইদহ সদর থানার পুলিশের নিয়মিত টহল দল টার্মিনাল এলাকায় টহল দিচ্ছিল। এ সময় টার্মিনাল এলাকায় মিনারুল ইসলামকে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করতে দেখে তাকে আটক করা হয়। পরে তার কাছে থাকা ব্যাগ তল্লাশি চালিয়ে একটি দেশীয় তৈরি শাটারগান উদ্ধার করা হয়।
মিনারুলের পরিবারের দাবি ষড়যন্ত্র করে তার স্বামীকে ফাঁসানো হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ