সুন্দরবনসহ উপকূলের জল-স্থলের দস্যু দমনে শুরু হয়েছে 'অপারেশন পাইরেটস হান্ট'।
নৌবাহিনী ও কোষ্টগাডের্র যৌথ উদ্যোগে বৃহস্পতিবার দুপুরে বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের হারবারিয়া এলাকা থেকে লেঃ এম সেলিম বিশ্বাসের নেতৃত্বে শুরু হয় এই অভিযান।
যৌথবাহিনীর অপারেশন পাইরেটস হান্ট নামের এই অভিযানে বিএনএস মংলা নৌঘাটির বাজানৌ কর্ণফূলীসহ ২টি যুদ্ধ জাহাজ ও ৮টি দ্রুতগামী জলযান অংশ নিয়েছে। এই অভিযানে নৌবাহিনীর ৭০ জন ও কোস্টগার্ডের ১০ জন সদস্য রয়েছে। সুন্দরবনসহ উপকূলের জল-স্থলের দস্যু দমন না হওযা পর্যন্ত এই যৌথ অভিযান চলবে।
মংলা কোষ্টগার্ড পশ্চিম জোনের জোনাল কমান্ডার ক্যাপ্টেন কাজী মেহেদী মাসুদ জানান, সুন্দরবনের জলদস্যুদের র্নিমূলে তাদের এই যৌথ অভিযান বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়েছে। দস্যুদের দমন না হওয়া পর্যন্ত অপারেশন পাইরেটস হান্ট নামের এই অভিযান চলবে। যৌথ বাহিনীর এই অভিযানের প্রথমে সুন্দরবন উপকূলের কটকা-কচিখালী, কোকিলমনি, হিরণ পয়েন্ট, টাইগার পয়েন্ট, আকরাম পয়েন্ট ও দুবলারচরসহ পরবর্তীতে সমগ্র সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশে পরিচালনা করা হবে। অভিযানে নৌ বাহিনী ও কোস্টগার্ডের দুইটি জাহাজসহ ৮টি দ্রুতগামী জলযান অংশ নিয়েছে।
ইতিমধ্যে স্ন্দুরবনে মাত্র কয়েকটি বনদস্যু বাহিনী আত্মসমর্পন করলেও জাহাঙ্গীর বাহিনী, নোয়া বাহিনী ও সাগর বাহিনীসহ অন্য বনদস্যুরা জেলেদের অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় করে আসছে। বর্তমানে ইলিশ আহরন মৌসুমে এসব বনদস্যু বাহিনীর কাছে বেশ কিছু জেলে জিম্মি রয়েছে। তাই জিম্মি জেলেদের উদ্ধার ও বনদস্যু বাহিনীকে গ্রেফতারের জন্য এ অভিযান শুরু করা হয়েছে। কোস্টগার্ডের সকল ষ্টেশন থেকে বনদস্যুদের সম্ভাব্য অবস্থান এলাকায় সাড়াশি অভিযান চালানো হচ্ছে। সুন্দরবনের জল-স্থলের দস্যু দমন না হওয়া পর্যন্ত এই অভিযান চলবে বলে নিশ্চিত করেছেন এই কোস্টগার্ড কর্মকর্তা।
বিডি প্রতিদিন/ ০৪ আগষ্ট ২০১৬/ সালাহ উদ্দীন