বন্যার পানিতে শরীয়তপুরের চারটি উপজেলার ৮০টি সড়ক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। সড়ক গুলোর প্রায় ৬০ কিলোমিটার এলাকা ভেঙ্গে যাওয়ায় বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। কয়েকটি সড়কের মাঝে ভেঙ্গে যাওয়ায় যান বাহন চলাচলে দুর্ভোগে পড়ছে মানুষ।
শরীয়তপুর স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর ও স্থানীয় সূত্র জানায়, পদ্মা নদীর পানি বিপদসীমার উপরদিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় গত ২৮ জুলাই থেকে শরীয়তপুরের জাজিরা, নড়িয়া, ভেদরগঞ্জ ও সদর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে বন্যার পানি প্রবেশ করতে থাকে। বন্যার পানিতে উপজেলা, ইউনিয়ন ও গ্রামীন সড়ক তলিয়ে যায়। চার উপজেলার ২৫টি পাকা ও ৫৫টি কাঁচা সড়ক বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। সড়ক গুলোর বিভিন্ন স্থানে ভেঙ্গে গিয়ে খানা খন্দক ও বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সড়ক গুলোর প্রায় ৮০ কিলোমটার জায়গা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এ ছারা পদ্মা নদীর ভাঙ্গনে আরো পাঁচ কিলোমিটার পাকা সড়ক নদীগর্ভে বিলিন হয়েছে।
গত শনি ও রবিবার জাজিরা ও নড়িয়া উপজেলার ১০ টি সড়ক ঘুরে দেখা যায়, এখনও অনেক পাকা সড়কে গর্ত হয়ে যাওয়ায় বন্যার পানি রয়েছে। কিছু সড়কের পানি নেমে গেলে ও বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হওয়ায় যানবাহন চলাচলে দুর্ভোগে পরতেহচ্ছে। কয়েকটি সড়কের মাঝে ভেঙ্গে যাওয়ায় সড়কের ভাঙ্গা স্থান দিয়ে বন্যার পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
জানতে চাইলে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের নড়িয়া উপজেলা প্রকৌশলীই কবাল হোসেন বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, নড়িয়ার ২০টি সড়ক বন্যার পানিতে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। একটি সড়ক ভেঙ্গে যাওয়ায় যানবাহন চলাচল করতে পারছেনা। ক্ষতিগ্রস্থ সড়কের তালিকা জেলা কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। দ্রুত সড়ক গুলো সংস্কারের উদ্যোগ নেয়ার আবেদন জানানো হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/ ১৪ আগস্ট ২০১৬/ সালাহ উদ্দীন