টাঙ্গাইলের কালিহাতী কলেজের সহকারী অধ্যাপক ওয়াজেদ আলী খানের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানীর অভিযোগ উঠেছে। তাকে বহিস্কারের দাবিতে রবিবার দুপুরে প্রশাসনিক ভবন ঘেরাও, কলেজ ভাংচুর ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে শিক্ষার্থীরা। মিছিল শেষে কলেজ পরিচালনা পরিষদের সভাপতি ও কালিহাতী উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু নাসার উদ্দিনের নিকট স্বারকলিপি প্রদান করেন।
জানা যায়, কালিহাতী কলেজের সহকারী অধ্যাপক ওয়াজেদ আলী খানের বিরুদ্ধে কলেজের সাবেক ছাত্রী ও তার নিজস্ব প্রতিষ্ঠান কালিহাতী প্রি-ক্যাডেট স্কুলের নাচের শিক্ষিকাকে কুপ্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগে কালিহাতী থানা পুলিশ গত ১০ আগস্ট তাকে আটক করে। পরে কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুর রহিম ব্যক্তিগত জামিনে বিচারের আশ্বাসে ছাড়িয়ে নিয়ে আসেন। এ সংবাদ কালিহাতীর সর্বত্র ছড়িয়ে পড়লে কালিহাতী কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। তারা ওই অধ্যাপককে কলেজ থেকে বহিস্কার, তার নিজস্ব প্রতিষ্ঠান কালিহাতী প্রি-ক্যাডেট স্কুল বন্ধসহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মিছিল বের করেন। এক পর্যায়ে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-ছাত্রীরা কলেজ অধ্যক্ষের রুমে ভাংচুর চালায়। শিক্ষার্থীরা একটি বিক্ষোভ মিছিল কলেজ চত্ত্বর থেকে বের করে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে এসে এক সংক্ষিপ্ত বিক্ষোভ সমাবেশে মিলিত হন। এ সময় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক মনিরুজ্জামান মনির, পৌর ছাত্রলীগের আহবায়ক রিমন, কলেজ শাখা ছাত্রলীগের আহবায়ক জাহিদ, তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী স্বর্না ও আইরিন খান, দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র সাদেক সিদ্দিকী প্রমুখ।
পরে উপজেলা চেয়ারম্যান মোজহারুল ইসলাম তালুকদার উক্ত দাবির সাথে একাত্মতা ঘোষণা করে কালিহাতী কলেজ অধ্যক্ষ ও কালিহাতী থানার ওসির সাথে কথা বলে তার বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন। কলেজ পরিচালনা পরিষদের সভাপতি বরাবর একটি স্মারকলিপিও প্রদান করা হয়।
এ ব্যাপারে অধ্যক্ষ আব্দুর রহিম জানান, ঘটনা সত্য প্রমাণিত হলে সভাপতির নির্দেশ মোতাবেক তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, এই অধ্যাপক একাধিকবার যৌন হয়রানীর অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছেন এবং কারাবাস করেছেন।
বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ