সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে ফের গবাদি পশুর রোগ অ্যানথ্রাক্স আবরো মানবদেহে ছড়িয়ে পড়েছে।
বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার স্বাস্থ্যবিভাগের কর্মীরা উপজেলার চরকৈজুরী গ্রামে ১৩ জনকে সনাক্ত করেন।
আক্রান্তরা হলো- চরকৈজুরি গ্রামের হাসনা খাতুন (২৫), হাসি খাতুন (৩), তামিম (৪), ইয়ামিন (৬), আঁখি (৭), নূপুর (৮),স্বপ্না (১০), আলামিন (১৩), তুর্য্য খাতুন (২৫), পলাশ (২৫), শামীম (৩৫), মরিয়ম (২৯) ও জামিলা (২)। এদের সকলকেই প্রাথমিক শিক্ষা দেয়া হয়েছে।
শাহজাদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জাফরুল হোসেন ও স্থানীয়রা জানান, গত ৮ আগস্ট চরকৈজুরি গ্রমের দেলবার প্রামানিকের ছেলে নজরুল ইসলামের একটি গরু অসুস্থ হয়ে পড়লে গরুটি জবাই করে মাংস বিক্রি করা হয়। কম দাম হওয়ায় সকলেই এর মাংস কিনে নেয়। এই গরুর মাংস কাটাছেড়া-ধোয়ামোছার সাথে জড়িতদের হাত পায়ে ঘা দেখা দেয়। এ অবস্থায় বৃহস্পতিবার সকালে চিকিৎসার জন্য কযেকজন সদর হাসপাতালে যান। বিকেলে তাদের শরীরের ক্ষতস্থানের নমুনা পরীক্ষা করে এটিকে অ্যানথ্রাক্স হিসেবে চিহ্নিত করেন। বিষয়টি তাৎক্ষনিক আমাদেরকে অবহিত করা হয়। পরে সন্ধ্যায় চরকৈজুরি গ্রামে মেডিকেল টিম নিয়ে পরীক্ষা করে আরো ৮ জনকে সনাক্ত করা হয়। এরপর শুক্রবার সকালে আরো ২ জনসহ মোট ১৩ জনকে সনাক্ত করা হয়।
শাহজাদপুর উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ আলহাজ্ব আব্দুস সামাদ বলেন, সংবাদ পেয়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ওই এলাকার গরুগুলোকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, গত ১ মাস ধরে অফিসে ভ্যাটেরিনারি সার্জন ৬ মাসের ট্রেনিংয়ে রয়েছেন। এ ছাড়া গত ৫ বছর ধরে ২ জন মাঠকর্মীর পদ শুন্য রয়েছে। তাই এ উপজেলার বিশাল সংখ্যক গবাদি পশুকে যথাযথ চিকিৎসা ও ভ্যাকসিন দেয়া সম্ভব হচ্ছেনা। এ অবস্থায় আমরা বিপাকে রয়েছি। তিনি অবিলম্বে এ শুন্য পদ পূরণ ও ভ্যাটেরিনারি সার্জন পদে ডেপুটেশনে একজনকে নিয়োগ দেয়ার জোর দাবী জানিয়েছেন। তিনি জানান, শাহজাদপুর উপজেলায় প্রায় সাড়ে ৬ লাখ গবাদি পশু রয়েছে। তার একার পক্ষে এই বিশাল সংখ্যক পশুর চিকিৎসা দেয়া সম্ভব হচ্ছে না।
শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামীম আহমেদ জানান, আক্রান্ত ১৩ জনকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/ ১৯ আগস্ট ২০১৬/ সালাহ উদ্দীন