সিলেট বিভাগের হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট থানার দক্ষিণ জারুলিয়া গ্রামে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে গিয়ে সাত বছর বয়সী সন্তান ইফাকে হত্যা করেন বাবা-মা। অন্য সন্তান রিফাকেও ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ক্ষতবিক্ষত করেন তারা। সেই ঘাতক বাবা আবদুশ শহীদ লিটন (৩০) এবার ধরা পড়েছে র্যাবের হাতে। সোমবার গভীর রাতে লিটনকে আটক করা হয়।
র্যাব-৯ এর এএসপি মোহাম্মদ জিয়াউল হক জানান, জিজ্ঞাসাবাদে সন্তানকে হত্যার বিষয়টি স্বীকার করেছে লিটন। প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে এবং মামলা থেকে বাঁচতে হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হয়ে এমনটা করেছে বলেও লিটন স্বীকার করেছে।
জানা যায়, হাওরে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে চুনারুঘাট থানার দক্ষিণ জারুলিয়া গ্রামের আবদুশ শহীদ লিটন ও তার ভাইদের সাথে প্রতিবেশী আবদুর রউফ, সোহেুল ও রফিক গংদের সাথে বিবাদ ছিল। এ বিবাদকে কেন্দ্র করে লিটনদের বাড়িতে হামলা চালায় প্রতিপক্ষ। এসময় লিটনের সৎ ভাই ছাওয়াল প্রতিপক্ষ রফিককে টেটাবিদ্ধ করে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের হুমকি দেয় প্রতিপক্ষ।
মামলা থেকে বাঁচতে এবং প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে স্ত্রী মিলন বেগমের সাথে নিজ সন্তান ইফাকে হত্যার পরিকল্পনা করে লিটন। গত ২১ আগস্ট রাতে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ইফা আক্তারকে হত্যা করে লিটন। একই সময় অপর সন্তান রিফাকেও কুপিয়ে গুরুতর আহত করে লিটন। ঘটনার পর ইফাকে প্রতিপক্ষ আবদুর রউফসহ অন্যরা হত্যা করেছে বলে প্রচার করতে থাকে সে। কিন্তু সত্যটা সবার সামনে চলে আসায় আত্মগোপনে চলে যায় লিটন।
পরে চাঞ্চল্যকর এই ঘটনার অনুসন্ধানে নামে র্যাব। সোমবার গভীর রাতে সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার বীরশ্রী ইউনিয়ন থেকে আবদুশ শহীদ লিটনকে গ্রেফতার করে র্যাব।
বিডি প্রতিদিন/৪ অক্টোবর, ২০১৬/ফারজানা