লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার ৫০ শয্যবিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে টাকা ছাড়া চিকিৎসা সেবা মেলে না। এমন অভিযোগ করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেওয়া রোগী ও তাদের স্বজনেরা। এছাড়াও অভিযোগ রয়েছে হাসপাতালের সামনে বেশ কয়েকটি ডায়াগনোষ্টিক সেন্টারে চেম্বার খুলে বসেছেন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তারগণ।
জানা গেছে, যে কোন ধরণের রোগী হাসপাতালে সেবা নিতে এলে তাদের নির্ধারিত বেতনভোগী ডায়াগনোষ্টিক সেন্টারের দালালরা কৌশলে রোগীদের বাধ্য করে ঐ চেম্বারে নিয়ে যেতে। তাছাড়া ভর্তিকৃত রোগীদের হাসপাতাল থেকে দেয়া স্লিপে লেখা থাকে নির্দিষ্ট ডায়াগনোষ্টিক সেন্টারের নাম। আজ সরেজমিনে ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ওয়ার্ডে ঢুকতেই রোগীর বিভিন্ন স্বজনরা এমন অভিযোগ করেন।
হাসপাতালে গাইনি বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসা ছালেহা বেগম জানান, তার সিজারে ১ কেজি ৬০০ গ্রাম ওজনের একটি সন্তান জন্ম নিলে কর্তব্যরত এক আয়াসহ দুইজন নার্স তার কাছ থেকে ২ হাজার টাকা বকশিস দাবি করেন। এ অবস্থায় তার স্বজনরা গরীব হওয়ায় ২ হাজার টাকা দিলেও নার্সরা খুব খারাপ আচরণ করেন।
এ ব্যাপারে আয়া আরজু বেগম বলেন, আমি একা না আরও ৪ জন আয়া আছে। আমরা জোর করে কারো কাছ থেকে টাকা নেই না। রোগীদের সেবা করে দিলে তারাই খুশি হয়ে টাকা দেয়।
এদিকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডাক্তাররা চিকিৎসা সেবা না দিয়ে প্রাইভেট চেম্বারে যেতে বলেন এরকম অভিযোগও রয়েছে অহরহ। ফলে দুর দুরান্ত থেকে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা রোগীরা নানান রকম হয়রানি ও টাকা ছাড়া সেবা নিতে পারছেন না বলে জানা যায়।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শাহরিয়া শায়লা জাহান বলেন, ‘হাসপাতালের সব সেবাই বিনা মূল্যের। আমি কখনোই টাকা নেওয়ার অভিযোগটি শুনিনি। বিষয়গুলো তদন্ত করে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
বিডি প্রতিদিন/৬ নভেম্বর ২০১৬/হিমেল-১৮