কুড়িগ্রামের নয়টি উপজেলায় ১২১৭ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে প্রায় দুই শতাধিক ঝুঁকিপূর্ণ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের খোলা আকাশের নীচে ও ঝুকিপূর্ণ ভবনে চলছে শিক্ষার্থীদের পাঠদান কার্যক্রম। দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যালয় ভবন নির্মাণ ও মেরামতের জন্য উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে আবেদন করেও কোন কাজ হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা।
দ্রুত এসব ঝুকিপূর্ণ ভবন মেরামত অথবা নতুন ভবন নির্মাণ করে শিক্ষার্থীদের পাঠদানের ব্যবস্থা করা না হলে জেলার প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রম ব্যহত হওয়ার আশংকা করছেন শিক্ষক ও অভিভাবকরা।
এ ব্যাপারে কুড়িগ্রাম জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার এনামুল হক জানান, আমরা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের নিকট থেকে উলিপুর উপজেলার ৩৫টি, সদরের ৩টি, নাগেশ্বরীর ২৯টি, ফুলবাড়ী উপজেলার ১০টি, ভুরুঙ্গামারী উপজেলায় ২৯টি, রাজারহাট উপজেলায় ১২টি ও রৌমারী উপজেলায় ২১টিসহ মোট ১৩৯টি খোলা আকাশের নীচে পাঠদান ও ঝুকির্পূণ বিদ্যালয়ের তালিকা পেয়েছি। শুধু চিলমারী ও রাজিবপুর উপজেলার তালিকা পাওয়া যায়নি। আমরা এসব বিদ্যালয়ের তালিকা করে সংশ্লিষ্ট বিভাগে এ বছরের ১৩ অক্টোবর প্রেরণ করেছি। তবে এখনও এ সংক্রান্ত কোন চিঠি পাওয়া যায়নি।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার/20