নরসিংদীতে আট বছর আগে বরফকল শ্রমিক আইয়ুব মিয়া (২৮) হত্যা মামলায় ৬ জনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে আসামিদের প্রত্যেককে তিন বছরের কারাদণ্ড ও দশ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ শাহীন উদ্দিন এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন নরসিংদী শহরের পশ্চিমকান্দা পাড়ার সোহাগ চন্দ্র দাস, বৌয়াকুড়ের সাদ্দাম, সমীর চন্দ্র দাস, বিমল, ময়মনসিংহের গৌরীপুরের সুজন ওরফে বাঘা সুজন ও চাঁদপুরের মতলবের এরশাদ। তারা সবাই পলাতক।
আদালত সূত্রে জানা যায়, নিহত আইয়ুব মিয়া শহরের বৌয়াকুড়ের একটি বরফকলের শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। ২০০৮ সালের ২৯ আগস্ট একই বরফকলের চাকরিচ্যুত শ্রমিক টাইগার সুজন বেড়ানোর কথা বলে মেঘনা নদীতে নিয়ে যায়। এরপর ওই দিন তার আর খোঁজ মেলেনি। পরদিন দামের ভাওলা গ্রামে আইয়ুবের মাথাবিহীন মরদেহ পাওয়া যায়। এই ঘটনায় নিহতের বাবা আবদুল হেকিম সরকার বাদী হয়ে নরসিংদী সদর মডেল থানায় ছয়জনকে আসামি করে থানায় হত্যা মামলা করেন।
এই ঘটনায় গ্রেফতার চার আসামি আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে জানান, চাকরি হারানোয় ক্ষিপ্ত হয়ে টাইগার সুজন তার বন্ধুদের নিয়ে আইয়ুবকে গলা কেটে হত্যা করে। পরে দেহ থেকে মাথা আলাদা করে মেঘনা নদীতে ফেলে দেয়। এরপর সিআইডি পুলিশের এসআই ইমাম হোসেন ওই ছয়জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়া শেষে মঙ্গলবার আদালত ওই ৬ আসামির ফাঁসির আদেশ দেন।
বিডি-প্রতিদিন/২৯ নভেম্বর, ২০১৬/মাহবুব