পরীক্ষা দিতে যাওয়ার পথে নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় ৯ম শ্রেণীর এক শিক্ষার্থী যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। ঘটনার পর থেকে এলাকাবাসী ও অভিভাবকদের মধ্যে চরম ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ নিয়ে মঙ্গলবার দুপুরে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়িতে সালিশও বসে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, জেলার আটপাড়া উপজেলার তেলিগাতী ইউনিয়নের শ্রীরামপুর গ্রামের পিতৃহারা মেয়ে পার্শ্ববর্তী কেন্দুয়া উপজেলার আশুজিয়া ইউনিয়নের জনতা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির ছাত্রী। প্রতিদিনের ন্যায় সে তার বান্ধবীকে নিয়ে মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে বাড়ি থেকে পরীক্ষা দেয়ার জন্য বিদ্যালয়ের পথে রওয়ানা দেয়। পথিমধ্যে কেন্দুয়া উপজেলার কৈলাটী গ্রামের আব্দুর রাশিদের বখাটে পুত্র সুমন তার পথরোধ করে। এসময় মেয়েটির শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে জোরপূর্বক কামড়িয়ে মারাত্মক জখম করে। খবর পেয়ে স্থানীয় আশুজিয়া ইউপি চেয়ারম্যান ও জনতা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম আহত মেয়েটিকে উদ্ধার করে তার বাড়িতে নিয়ে আসে। পরে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
এ ন্যাক্কার জনক ঘটনার সংবাদ এলাকায় দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে বিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক ও অভিভাবকদের মধ্যে দেখা দেয় চরম উত্তেজনা। এ নিয়ে দুপুরে ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়িতে সালিশ বসলে, সেখানে উপস্থিত অভিযুক্ত বখাটে সুমনের পিতা আব্দুর রাশিদ বলেন, আমার ছেলে যে অপকর্ম করেছে, তার জন্য আমি লজ্জিত। তিনি আরও বলেন, ছেলেকে যে শাস্তি দেয়া হবে, আমি তা মাথা পেতে নেব।
ইউপি মেম্বার সোহেল জানান, অভিযুক্ত সুমনকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করার জন্য এলাকাবাসী চেষ্টা চালাচ্ছে।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি রঞ্জিত কুমার তালুকদার বলেন, সকালে যে ঘটনাটি ঘটেছে, তা অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক। এসব ঘটনা প্রতিরোধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া দরকার।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম জানান, মেয়েটির উপর নির্যাতন চালানোর সংবাদ পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পৌঁছে মেয়েটিকে নিজের বাড়িতে এনে চিকিৎসা করাচ্ছি। এর সুষ্ঠু বিচার করার ব্যবস্থা গ্রহণের চেষ্টা চলছে। বিষয়টি কেন্দুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানার ওসিকেও অবহিত করেছি।
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক ড. মুশফিকুর রহমান মুঠোফোনে বলেন, এমন ঘটনার তদন্ত করে সঠিক বিচারের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিডি-প্রতিদিন/২৯ নভেম্বর, ২০১৬/মাহবুব