লালমনিরহাট জেলা পরিষদ নিবার্চনে সদস্য প্রার্থী এক আ.লীগের নেতার পক্ষ নিয়েছেন বিএনপি নেতা। নিবার্চনে ৬ নং ওয়ার্ড সদস্য প্রার্থী ও হাতীবান্ধা উপজেলা আ.লীগে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দিলীপ কুমার সিংহ'র মনোননয়পত্রে প্রস্তাবকারী হিসেবে নিজের নাম লিখেছেন টংভাঙ্গা ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিব আশরাফ আলী।
আর আওয়ালীগের গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে প্রতিপক্ষ বিএনপি নেতাকে প্রস্তাবকারী হিসেবে বেছে নেয়ার ঘটনায় শুধু বিএনপিতে নয়, খোদ ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের মাঝেও চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা।
জেলা নিবার্চন অফিস সূত্রে জানা যায়, হাতীবান্ধা উপজেলার টংভাঙ্গা, পাটিকাপাড়া ও ডাউয়াবাড়ি ইউনিয়নে ৪১ জন ভোটার নিয়ে জেলা পরিষদ নিবার্চনের ৬ নং ওর্য়াড গঠিত। এতে উপজেলা আ.লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাবু দিলীপ কুমার সিংহসহ ৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। কিন্তু নির্বাচনী নিয়মানুযায়ী মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় আ.লীগ সমর্থিত কোন ইউপি মেম্বারকেই যেন প্রস্তাবকারী হিসেবে খুঁজে পাননি ওই আ.লীগ নেতা! তাই তিনি টংভাঙ্গা ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিব ও ইউপি সদস্য আশরাফ আলীকেই প্রস্তাবকারী আর সমর্থনকারী হিসেবে বেঁছে নিয়েছেন এছলাম নামের অপর এক সদস্যকে। নিবার্চনী প্রতিক হিসেবে তালা মার্কা পেয়েছেন আ.লীগ নেতা দিলীপ কুমার সিংহ। আর তার সাথে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিব আশরাফ আলী। যিনি প্রায় এক যুগ ধরে টংভাঙ্গা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করার পর বর্তমানে সদস্য সচিব হিসেবে দলীয় কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছেন।
তবে আ.লীগ বিএনপি'র গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকা নেতাদের জেলা পরিষদ নিবার্চনে এমন সখ্যতা দেখে ভোটারদের মাঝেও নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে বিএনপি নেতা হিসেবে আ.লীগ নেতার প্রস্তাবকারী হওয়ার বিষয়টি কোন অবস্থায় মেনে নিতে পারছেন না দলটির নেতাকর্মীরা।
জানতে চাইলে হাতীবান্ধা উপজেলা বিএনপির আহবায়ক মোশারফ হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে দলীয় শৃঙ্খলা ভেঙে জেলা পরিষদ নিবার্চনে আ.লীগের সদস্য প্রার্থীর প্রস্তাবকারী হওয়ার ঘটনায় আমরা সবাই হতবাক ও ক্ষুব্ধ। তাই এই মুহুর্তে তাকে ( আশরাফ আলী) নিয়ে বলার ভাষা আমি হারিয়ে ফেলেছি।”
বিএনপি নেতা আশরাফ আলী সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি তো আ.লীগে যোগ দেইনি। একজন ইউপি সদস্য হিসেবে জেলা পরিষদ নিবার্চনের প্রার্থী দিলীপ বাবু'র প্রস্তাবকারী হয়েছি মাত্র।’
জেলা পরিষদ সদস্য পদপ্রার্থী দিলীপ কুমার সিংহ সাংবাদিকরে জানিয়েছেন, নির্বাচনে ভোটারদের মধ্যে যে কেউ তার প্রস্তাবকারী হতে পারেন। কিন্তু উপজেলা আ.লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে থেকে বিএনপি নেতাকে সমর্থনকারী হিসেবে বেছে নেয়া দলের জন্য নেতিবাচক কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আশরাফ আলী আজ না হয় বিএনপি করছেন, কিন্তু ভবিষ্যতে তো তিনি আ.লীগে যোগ দিতে পারেন।”
বিডি-প্রতিদিন/১৪ ডিসেম্বর, ২০১৬/সালাহ উদ্দীন