রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার নিমপাড়া ইউনিয়নের পোড়াভিটা এলাকা থেকে বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে আট বছরের এক আদিবাসী শিশুর অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত ওই শিশুর নাম দেব কুমার পাহাড়িয়া। সে ওই গ্রামের শম্ভুনাথ পাহাড়িয়ার ছেলে। উদ্ধারের পর মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
চারঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নিবারণ চন্দ্র বর্মন জানান, নিমপাড়া ইউনিয়নের পোড়াভিটা এলাকার রমজান আলীর বাঁশবাগান থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। এর আগে শিশুর অর্ধগলিত মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা থানায় খবর দেন। ওই বাঁশবাগানের অদূরেই তাদের বাড়ি।
নিহত শিশুর বাবা শম্ভুনাথ পুলিশকে জানিয়েছেন, এক সপ্তাহ থেকে তার ছেলে বাড়ি থেকে নিখোঁজ ছিল। বিভিন্ন স্থানে তাকে খোঁজ করা হচ্ছিল বলে থানায় কোনো জিডি করা হয়নি। বৃহস্পতিবার সকালে গ্রামের ওই বাঁশ বাগানে শিশুর মরদেহ পাওয়ার খবরে তিনি সেখানে যান এবং তার ছেলে দেব কুমার পাহাড়িয়ার মরদেহ শনাক্ত করেন।
দেবের মা আরতি রাণী পুলিশের কাছে দাবি করেছেন, শম্ভুনাথের সঙ্গে তার ছাড়াছাড়ি হওয়ার পর নাটোর জেলার লালপুর গ্রামের অনিল কুমারের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। তারও প্রথম স্ত্রী আছে। পারিবারিক কলহের জের ধরে সৎবাবা অনিল পরিকল্পিতভাবে তার ছেলেকে হত্যা করেছে। অনিল বর্তমানে পলাতক এবং তার মোবাইলও বন্ধ।
ওসি জানান, কে বা কারা এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তার মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে অনিল কুমারকে আটকের চেষ্টা চলছে। এ ব্যাপারে থানায় মামলা হয়েছে বলে জানান ওসি।
বিডি-প্রতিদিন/ ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৬/ আফরোজ