মোবাইল কোর্ট কর্তৃক ঔষধের দোকানদার এবং ক্লিনিককে আর্থিক জরিমানার ঘটনায় দিনাজপুরের ড্রাগ সুপারকে বদলি, অর্থ ফেরতসহ ৪ দফা দাবিতে দিনাজপুর শহরের ঔষধের দোকানে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট পালন করেছে ঔষধ ব্যবসায়ী।
বৃহস্পতিবার শহরে ২টি ঔষধের দোকান এবং ২টি ক্লিনিকে অভিযান চালিয়ে মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ রাখার অপরাধে ৪ লাখ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আনিসুর রহমান। এ জরিমানার প্রতিবাদে দিনাজপুর ড্রাগিস্ট এন্ড কেমিস্ট এসোসিয়েশনের ডাকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে ধর্মঘট শুরু করেন ঔষধ ব্যবসায়ীরা। এদিকে আকস্মিক ধর্মঘটে বিপাকে পড়েছেন রোগীসহ স্বজনরা।
ড্রাগিস্ট এন্ড কেমিস্ট এসোসিয়েশনের অফিস সম্পাদক বিনোদ সরকার জানান, ১৯ জানুয়ারী দিনাজপুর সদর হাসপাতাল মোড় সংলগ্ন এলাকায় মিতালী ফার্মেসী ও আরমান ফার্মেসীতে অভিযান চালিয়ে ২ লক্ষ টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ আনিসুর রহমান। একই সময় রোগ মুক্তি ক্লিনিক ও আনোয়ারা ক্লিনিকে অভিযান চালিয়ে ২ লক্ষ ১০ হাজার টাকা জরিমানা এবং আনোয়ারা ক্লিনিকটি সীলগালা করে দেন।
আমাদের ৪ দফা দাবিগুলো হল, টোকেন মানি বাদে জরিমানার বাকি টাকা ফেরৎ দিতে হবে, ড্রাগ সুপারের দ্রুত অপসারণ করতে হবে, সুনির্দিষ্ট ঔষধ রাখার তালিকা প্রতিটি ফার্মেসীতে দিতে হবে এবং চিকিৎসকের প্রেক্রিপশন দেয়া ফুড সাবলিমেন্ট্রি সাপ্লাই বন্ধ করতে হবে।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের টিমে উপস্থিত ছিলেন র্যাব-১৩’র কোম্পানী কমান্ডার খন্দকার গোলাম মর্তুজা, ড্রাগ সুপার মোঃ রফিক ও ডাঃ বিপুল চন্দ্র রায়সহ র্যাব-১৩ এর অন্যান্য সদস্যবৃন্দ।
বিডি প্রতিদিন/২০ জানুয়ারি ২০১৭/হিমেল