বাঙ্গালীর উৎসবগুলোর মধ্যে অন্যতম শীতকালীন পিঠা উৎসব। আর এ উৎসবকে কেন্দ্র করে কৃষক সংবর্ধনা ও পালা গানের আয়োজন করা হয়। দিনাজপুরের প্রত্যন্ত গ্রামে এ পিঠা উৎসব মানুষের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলে।
শুক্রবার সকালে জেলার খানসামার ভেড়ভেড়ী ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে এ উৎসবের আয়োজন করে সেচ্ছাসেবী সংগঠন মুক্তিযুদ্ধ ৭১ ।
উৎসবে ১০টি স্টল নিয়ে গ্রাম বাংলার নানা ধরণের পিঠা স্থান পেয়েছে। বিশেষ করে জিরা পিঠা, ভাপা, নকশি, বিস্কুট পিঠা, চিতই, পাটিসাপটা, আন্দোসা, জামাই পিঠা, ডালের পিঠা ও তালের পিঠাসহ নানা ধরনের কয়েক শতাধিক পিঠার সমারহ। দেশি উপকরণ ব্যবহার করে এসব পিঠা তৈরি করেছেন স্থানীয় মানুষ। সকাল থেকে জমে উঠা উৎসবে ভীড় জমান বিভিন্ন গ্রাম থেকে আসা বিভিন্ন পেশার মানুষ।
কেউ কিনছেন, কেউ খাচ্ছেন। আবার কেউবা নিয়ে যাচ্ছেন প্রিয়জনের জন্য। পিঠা পুলির এ আয়োজনটি তরুণ প্রজন্মকে আকর্ষণ করে। পাশপাশি বিভিন্ন ধরনের পিঠা স্টলে বিক্রি করার মাঝে তারাও আনন্দ খুঁজছেন।
আঙ্গাপাড়া ইউপি থেকে আসা রকিবুল ইসলাম বলেন, গ্রাম এলাকায় এরকম আয়োজন খুব ভালো। এরকম অনেকেই মেতেছিল উৎসবে। উৎসবে তরুণরা বিভিন্ন পিঠার সাথের পরিচয় হতে পারছে।
পিঠা উৎসবের প্রধান অতিথি ছিলেন খানসামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাজেবুর রহমান। উৎসবের আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন মোস্তাওফিক আহমেদ শামিম এর সভাপতিত্বে ভেড়ভেড়ী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান হাফিজ সরকার এবং খানসামা ছাত্রলীগের আহবায়ক রেজাউল করিম প্রমুখ।
বিডি প্রতিদিন/২০ জানুয়ারি ২০১৭/হিমেল