গোদাগাড়ী উপজেলার রাজাবাড়ী হাট ডিগ্রি কলেজের ম্যানেজিং কমিটি নিয়ে বিরোধের জের ধরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ভাঙচুরের নাটক সাজিয়ে অন্যকে ফাঁসাতে গিয়ে নিজেরাই ফেঁসে গেলেন। ছবি ভাঙচুরের অভিযোগে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিরেন্দ্রনাথ দত্ত, ওই কলেজের প্রভাষক আবদুস সবুর, কলেজের পিয়ন অকিলকে শনিবার রাত ৩ টার দিকে গোদাগাড়ী মডেল থানা পুলিশ নিজ বাড়ি থেকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। অপর দিকে রাজশাহী জেলা গোয়েন্দা পুলিশ একই অভিযোগে উপজেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক ইমন মণ্ডলের পিতা রবিউল করিম রবি ও উপজেলা যুবদলের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক মো. মাসুদকে আটক করেছে। রাজশাহী জেলা ডিবির ওসি আব্দুর রাজ্জাক আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টার দিকে রাজাবাড়ী হাট ডিগ্রি কলেজের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি শাহাদুল হক মাস্টারের লোকজন কলেজে যায়। এ সময় কলেজের বর্তমান ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিরেন্দ্রনাথ দত্ত ও প্রভাষক মাহামুদ আক্তারের সঙ্গে কথা কাটাকাটি ও ধস্তাধস্তি হয়। গোদাগাড়ী মডেল থানা পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে আসে।
গোদাগাড়ী মডেল থানার ওসি হিপজুর আলম বলেন, সেই দিন বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার ছবি ভাঙার কোন ঘটনা ঘটেনি। বৃহস্পতিবার কলেজের অধ্যক্ষ নিরেন্দ্রনাথ দত্ত নাটকীয়ভাবে গোদাগাড়ী মডেল থানায় কলেজের সাবেক সভাপতি শাহাদুল হক মাস্টারসহ কয়েকজনের নামে জিডি করতে আসেন। শনিবার সকালে কলেজের শিক্ষক কর্মচারীরা কলেজের অফিস ঘর খুলে বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার ছবি ভাঙচুর করা অবস্থায় দেখতে পান। এলাকায় বিষয়টি ছড়িয়ে পড়লে এলাকাবাসী ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ বিক্ষোভে ফেটে পড়ে।
স্থানীয়রা জানান, কলেজের অধ্যক্ষ নিরেন্দ্রনাথ দত্ত ও তার সহযোগীরা কলেজের সাবেক সভাপতি ও রাজশাহী জেলা ডেপুটি কমান্ডারকে ফাঁসাতে এমন নাটক করে। পরে গোদাগাড়ী থানার পুলিশ বিষয়টি টের পেয়ে শনিবার রাতে অভিযান চালিয়ে ৩ জন ও রাজশাহী জেলার গোয়েন্দা পুলিশ ২ জনকে আটক করে। বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান ও শেখ হাসিনার ছবি ভাঙচুরের ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
গোদাগাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুর রশিদ বলেন, কলেজটিকে নিয়ে বর্তমান ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও অসাধু শিক্ষক কর্মচারীরা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে।
গোদাগাড়ী মডেল থানার ওসি হিপজুর আলম বলেন, ৫ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের নামে মামলা হবে।
বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ