পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ১৫ গ্রামের মানুষের একমাত্র একটি বাঁশের সাঁকোই ভরসা। উপজেলার ধুলাসার ইউনিয়নের খাপড়াভাঙ্গা নদীর তারিকাটা পয়েন্টে ওইসব গ্রামের প্রায় ৪০ হাজার মানুষ বছরের পর বছর দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে এলাকাবাসী একটি সেতুর জন্য বিভিন্ন মহলে আবেদন করলেও অদ্যাবধি কোনো সুফল মেলেনি। ফলে স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসাগামী ছাত্র-ছাত্রীসহ অসুস্থ্য ও গর্ভবর্তী মায়েদের চরম ঝুঁকি নিয়ে এ বাঁশের সাঁকোর উপর দিয়ে আসা যাওয়া করছে। এছাড়া সাঁকোটি অবস্থা খারাপ হওয়াতে বর্তমানে অনেকেই খেয়া নৌকা দিয়ে পারাপার হচ্ছে বলে ওখানকার লোকজন জানিয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সহজ উপায় উপজেলা কিংবা মহিপুর, আলীপুর ও ধুলাসারের চাপলী বাজারের যোগাযোগ রক্ষার জন্য ২০০৫ সালে এলাকার লোকজনের এ বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করে। কিন্তু কয়েক বছরের মধ্যে বাঁশ পচে নষ্ট হয়ে যায়। ফলে ওইসব গ্রামের মানুষ চরম ঝুঁকি নিয়ে এ বাঁশের সাঁকোর উপর দিয়ে পারাপার হচ্ছে।
নয়াকাটা গ্রামের সাবেক মেম্বর মো.নোয়াব আলী হাওলাদার জানান, এলাকার রাস্তঘাট পাকা। আথচ খাপড়াভাঙ্গা নদীতে ব্রিজ নির্মাণ করা হয়নি। দূর-দূরান্ত থেকে কৃষিপণ্য ও মালামাল মাথায় করে এলাকাবাসীরা ঝুঁকি নিয়ে এ সাঁকোটি পার হয়।
ডাবলুগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো.আ.ছালাম শিকদার জানান, জনস্বার্থে খাপড়াভাঙ্গা নদীর তারিকাটা পয়েন্টে ব্রিজ নির্মাণ করা জরুরী হয়ে পরেছে। ইতোপূর্বে তিনি উপজেলা পরিষদের সভায় উপস্থাপন করেছেন।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মোতালেব তালুকদার বলেন, খালটি অনেক বড় হওয়ায় কিছুই করা যাচ্ছে না। তবে ব্রিজটি নির্মাণের প্রস্তাব পাঠানো হবে বলে তিনি সাংবাদিকদের জানান।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার