টাঙ্গাইলের ভুঞাপুরে আওয়ামী লীগ নেতা ফরিদ হত্যা মামলায় গ্রেফতারকৃত উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক তাহেরুল ইসলাম ওরফে তোতা ও অলোয়া ইউপি চেয়ারম্যান নূরুল ইসলাম সরকারকে দ্বিতীয় দাফায় তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।
মঙ্গলবার দুপুরে টাঙ্গাইল ডিবি পুলিশ গ্রেফতারকৃতদের তিনদিনের রিমানড শেষে আদালতে হাজির করে আবারও ৭দিনের রিমান্ড প্রার্থনা করলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আমলী আদালতের বিচারক নওরিন মাহবুব ৩ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এদিকে ভুঞাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগে সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম ওরফে ফরিদ হত্যা মামলার অন্যান্য আসামিদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবিতে কোট চত্বরে বিক্ষোভ মিছিল, মাবনবন্ধন ও জেলা প্রশাসক বরাবর স্বারকলিপি প্রদান করেছে এলাকাবাসী। পরে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. আনোয়ার হোসেন স্বারকলিপি গ্রহণ করেন।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৬ ডিসেম্বর সকালে ভূঞাপুর উপাজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রকিবুল ইসলামের গলাকাটা লাশ তার নিজ গ্রাম ভাড়ই মধ্যপাড়ার একটি নির্জন পুকুরপাড় থেকে উদ্ধার করা হয়। আগের দিন রাত সাড়ে ৯টার পর তিনি নিখোঁজ হন।
ওই দিনই রকিবুলের ভাই ফজলুল করিম বাদি হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে ভূঞাপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে ফজলুল করিম বাদি হয়ে গত ১৫ ডিসেম্বর টাঙ্গাইল বিচারিক হাকিম আদালতে আরো একটি সম্পূরক মামলা দায়ের করেন। সে মামলায় উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক তাহেরুল ইসলাম ওরফে তোতা, অপর যুগ্ম আহবায়ক ও জেলা পরিষদের নব নির্বাচিত সদস্য আব্দুল হামিদ মিয়া ওরফে ভোলা, অলোয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নূরুল ইসলাম সরকারসহ সাতজনের নাম উল্লেখ করা হয়। আদালত থানায় ও আদালতে দায়ের করা মামলা দু’টি এক সঙ্গে তদন্তের আদেশ দেন।
মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয় জেলা গোয়েন্দা পুলিশকে। এর আগে গোয়েন্দা পুলিশ গত ২২জানুয়ারি এ মামলায় ভূঞাপুরের ভাড়ই মধ্যপাড়া গ্রামের শামছুল হকের ছেলে মাঈনুল হাসান ওরফে মাসুদকে এবং ওয়ারেজ আলীর ছেলে শওকত হোসেন ওরফে সৈকতকে ৩ ফেব্রুয়ারি গ্রেফতার করে। তারা দু’জন এর আগে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন