কালকিনি প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি সাংবাদিক শহিদুল ইসলামকে চাঁদাবাজি মামলায় জামিন দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার দুপুরে মাদারীপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আফরোজা বেগম এ জামিন মঞ্জুর করেন। একই সঙ্গে সাংবাদিককে গাছের সাথে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনায় হাইকোর্টের স্বপ্রণোদিত রুলের তদন্ত না হওয়া পর্যন্ত এ জামিন বহাল থাকারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৭ এপ্রিল দুপুরে কালকিনির পূর্ব এনায়েতনগরে নির্বাচনী প্রচারণার সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী বাদল তালুকদারের সমর্থকরা দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার উপজেলা প্রতিনিধি সাংবাদিক শহিদুল ইসলামের উপর হামলা চালায়। এরপর তাকে গাছের সাথে বেঁধে নির্যাতন করলে পুলিশ সাংবাদিককে উদ্ধার করে। এ সময় চেয়ারম্যান প্রার্থীর ছোট ভাই সরোয়ার তালুকদারসহ দুইজনকে আটক করা হয়। পরে রাতে চাঁদাবাজির মামলায় শহিদুলকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করলে বৃহস্পতিবার শুনানীর দিন ধার্য করে আদালত।
এ সংক্রান্ত ছবিসহ একটি সংবাদ একাধিক জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত হলে হাইকোর্টের বিচারপতি কাজী রেজাউল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহ’র বেঞ্চ স্বপ্রণোদিত হয়ে রুল জারি করেন। সাংবাদিককে গাছের সাথে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনায় দোষীদের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তা জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট। একই সাথে এই ঘটনায় স্বরাষ্ট্র সচিব, আইজিপি, ডিআইজি ঢাকা রেঞ্জ, মাদারীপুরের পুলিশ সুপার, কালকিনির ইউএনও এবং কালকিনি থানার ওসিকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। সেই সাথে পুলিশ সুপার পদমর্যাদার নিচে নয় এমন কোন কর্মকর্তাকে দিয়ে তদন্তের নির্দেশ প্রদান করেছে হাইকোর্ট।
এদিকে সাংবাদিক শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা দেয়ার প্রতিবাদে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় বক্তারা, শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি মামলা প্রত্যাহার ও তার নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানানো হয়।
বিডি প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন