কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম সুমনের বিরুদ্ধে পরিষদের দু'জন ভাইস চেয়ারম্যান ও ১১ টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অনাস্থা দিয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার উপজেলা পরিষদের সমন্বয় সভায় সর্বসম্মতভাবে অনাস্থা প্রস্তাব গৃহীত হয় বলে জানা গেছে।
উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন খান দিদার জানান, আমরা দু'জন ভাইস চেয়ারম্যান থাকা সত্ত্বেও আমাদের সাথে কোনো পরামর্শ ছাড়াই একতরফাভাবে চেয়ারম্যান একাই পরিষদের বিভিন্ন কাজের সিদ্ধান্ত নেন। তিনি সবার সাথে অশালীন আচরণ করেন। এর ফলে সবাই অতিষ্ট। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোছা. দিলোয়ারা বেগম বলেন, উপজেলা পরিষদের মাসিক সমন্বয় সভাগুলোতে চেয়ারম্যান সঠিক সময়ে উপস্থিত হন না। তাছাড়া সরকারের সব উন্নয়ন প্রকল্পসহ প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে অসহযোগিতা ও বাধা প্রদানসহ বিভিন্ন কারণে তার প্রতি অনাস্থা দেওয়া হয়েছে।
দেহুন্দা ইউপি চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান সঞ্জু বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যানের নানা অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতায় সবাই অতিষ্ঠ। কিরাটন ইউপি চেয়ারম্যান ইবাদুর রহমান শামীম বলেন, পরিষদে বসে তিনি বিএনপির কর্মকাণ্ড বাস্তবায়নে ব্যস্ত থাকেন।
অভিযুক্ত উপজেলা চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম সুমন তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, পরিষদের তিন বছর সময়ের মধ্যে মাত্র একটি সভায় রাস্তায় যানজটের কারণে সঠিক সময়ে উপস্থিত হতে পারিনি। প্রকল্প বাস্তবায়নে অসহযোগিতার বিষয়ে তিনি ইউপি চেয়ারম্যানদের দোষারোপ করে বলেন, এ সংক্রান্ত কোনো সভায় তারা উপস্থিত না হওয়ায় সিদ্ধান্ত নেওয়া যাচ্ছে না। তাছাড়া ইউপি চেয়ারম্যানরা ইউনিয়ন পরিষদের রেজুলেশন ছাড়াই প্রকল্প জমা দেন, যা অনৈতিক ও বেআইনী। রেজুলেশন ছাড়া তাদের প্রকল্প গ্রহণ না করায় তারা আমার প্রতি ক্ষুব্ধ।
এ ব্যাপারে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ পরিচালক জহিরুল ইসলাম অনাস্থা প্রস্তাবের রেজুলেশনের কপি পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের জন্য পাঠিয়েছি। মন্ত্রণালয় ইচ্ছা করলে বিষয়টি তদন্ত করতে পারে, অথবা সিদ্ধান্ত দিতে পারে।
বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ