বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে সাতক্ষীরা জেলা। আজ শুক্রবার ভোর রাত ৩টা থেকে জেলার আটটি থানা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। এর ফলে জেলার ২২ লাখ মানুষ ভ্যাবসা গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন। বিশেষ করে হাসপাতালের শিশু ও বয়স্কর রোগীদের মধ্যে নাভিশ্বাস হয়ে উঠেছে এই গরমে।
সাতক্ষীরা শহরের একাধিক লোকজন জানান, নতুন বাংলা বছরের শুরুতে সাতক্ষীরা জেলায় চরমভাবে বিদ্যুৎ বিপর্যয় দেখা দেওয়ায় সাধারণ মানুষের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ভ্যাবসা গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। মিল-কলকারখানার কার্যক্রম চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। কোটি কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে হিমায়িত মাছ ও চিংড়ী শিল্পে।
বিদ্যুৎ বিভাগ বলছে, খুলনা-সাতক্ষীরার ১’শ ৩২ হাজার পাওয়ার ভোল্টের বৈদ্যুতিক লাইনে ক্রুটির কারণে বার বার সাতক্ষীরা জেলায় এই বিদ্যুৎ বিপর্যয় দেখা দিচ্ছে।
রাত তিনটার দিকে বিদ্যুৎ চলে গেলেও এখনও পর্যন্ত তা আসার কোনো খবর নেই। ফলে প্রচণ্ড গরমে শিশুরা বেশি কষ্ট পাচ্ছে। এইচএসসি পরীক্ষার্থীরাও পড়েছেন চরম বিপাকে।
সাতক্ষীরা নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রোকনুজ্জামান জানান, সাতক্ষীরা জেলায় খুলনা থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ হয়। বিদ্যুৎ সরবরাহের এই পাওয়ার লাইনে ক্রুটির কারণে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
বৃহস্পতিবারও বিনেরপোতা ৩৩ হাজার ভোল্ট গ্রীড ইনসুলেটার পিন ক্রাক করায় গোটা জেলায় টানা ১০ ঘণ্টা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। পরে বেলা ১টার দিকে লাইন সচল হলে সাতক্ষীরায় বিদ্যুৎ ব্যবস্থা স্বাভাবিক হয়। তবে আজ কয়টা নাগাত বিদ্যুৎ আসবে সেটি তিনি স্পষ্ট করে কিছু বলতে পারেননি।
বিডি প্রতিদিন/১৪ এপ্রিল ২০১৭/এনায়েত করিম