পুরনোর জীর্ণতা, গ্লানি-ভেদ ভুলে নতুনকে আহ্বান এবং সবার মঙ্গল কামনা করে বাংলা নুতন বছরকে বরণ করে নিত মঙ্গল শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে দিনাজপুরের বীরগঞ্জে। তবে শহরে নয়, একেবারে মেঠো পথের সেই পল্লী গ্রাম ঝাড়বাড়ীতে। তাও আবার ভিন্ন আঙ্গিকে এবং চোখ ধাঁধানো।
শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে দিনাজপুরের বীরগঞ্জে অতঃপর থিয়েটার এন্ড সংঘের আয়োজনে এক গ্রামের ঝাড়বাড়ী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ থেকে বের হয় এ মঙ্গল শোভাযাত্রা।
এবারের মঙ্গল শোভাযাত্রার মূল প্রতিপাদ্য ‘মুছে যাক গ্লানি ঘুচে যাক জরা, অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা’ মর্মবাণী ধারণ করে ঐক্য ও অসাম্প্রদায়িকতার ডাক দিয়ে ‘আনন্দলোকে মঙ্গলালোকে বিরাজ সত্য সুন্দর’।
পল্লী গ্রামের সেই বর্ষবরণে মঙ্গল শোভাযাত্রায় অংশ নেন হাজারো মানুষ। অতঃপর থিয়েটার এন্ড সংঘের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয়েছে এই মহাকর্মযজ্ঞ। শোভাযাত্রায় অংশ নিতে সকাল থেকে ঝাড়বাড়ী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জমায়েত হতে থাকে হাজারো মানুষ। ঝাড়বাড়ী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে থেকে ঝাড়বাড়ী বাজার এলাকা বৈশাখের রঙে রঙিন মানুষের পদভারে মুখরিত হয়ে ওঠে। এখানে দেখা যায় বিয়ে বাড়ি। বর-বউ, পালকি আরও কত কি?
শোভাযাত্রাটি ঝাড়বাড়ী এলাকার বিভিন্ন পথ প্রদক্ষিণ করে আবার ঝাড়বাড়ী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে গিয়ে শেষ হয়।
শোভাযাত্রায় অংশ নেন শিক্ষক, ছাত্র, বুদ্ধিজীবী সাংস্কৃতিক কর্মীসহ সর্বস্তরের মানুষ। এতে তরুণদের অংশ নিতে দেখা গেল বৈশাখী পাঞ্জাবি আর মাথায় গামছা, যাতে লেখা ছিল এসো এসো হে বৈশাখ। তরুণীরা পরিধান করে বৈশাখী শাড়ি। ছোট ছোট বাচ্চাদের মুখে রংতুলি দিয়ে লেখা ‘শুভ নববর্ষ’।
অতঃপর থিয়েটার এন্ড সংঘের সভাপতি সৈয়েদ আতাউর রহমান, অতঃপর থিয়েটার এন্ড সংঘের সাধারণ সম্পাদক বিকাশ দেবনাথ, বিশিষ্ট সমাজ সেবক,আব্দুল মান্নান সরকার, ঝাড়বাড়ী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাধান শিক্ষক জাহিদ ইসলাম, তাসমিন আল বারি, মো. মতিউল ইসলাম, মো. ফারুক হোসেনের নেতৃত্বে ঝাড়বাড়ী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে থেকে বের হয় এই মঙ্গল শোভাযাত্রা।
বিডি-প্রতিদিন/১৪ এপ্রিল, ২০১৭/মাহবুব