নেই আয়ের কোনো উৎস। দু'চোখে হতাশার গ্লানি। প্রতিবন্ধী পাঁচ সন্তানের ভবিষ্যৎ চিন্তা স্বাভাবিক থাকতে দেয় না সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার বিধবা আলিমুন নেছাকে (৪৬)। অপ্রতুল ভাতায় তাদের লালন-পালন ও পড়ালেখার খরচ চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন তিনি। বছরের পর বছর নিদারুণ কষ্টে এভাবেই চলছে তার সংসার।
আলিমুন নেছা উপজেলা সদর ইউনিয়নের (জানাইয়া) নোয়াগাও গ্রামের মৃত আবদুল জলিলের স্ত্রী। তার নয় ছেলে মেয়ের মধ্যে পাঁচজনই প্রতিবন্ধী। এরা হলো হাজেরাকে (৩১), রুবেনা (২৭), সুবেনা (২৫), সাবিনা (২৪) ও আবদুল আজিজ (২৬)।
বুধবার আলিমুন নেছার বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, তিনি বড় মেয়ে বাক ও শারীরিক প্রতিবন্ধী হাজেরাকে মুখে খাবার তুলে দিচ্ছিলেন।
আলিমুন নেছা বলেন, সরকারি ভাতা পাচ্ছে চার জন। তাও তিন মাসে ছয় হাজার টাকা। যা দিয়ে সংসার চলে না। এই অভাবের সংসারে প্রতিবন্ধী সন্তানদের ভরণপোষণ চালিয়ে অপর তিন ছেলে-মেয়ের লেখাপড়ার খরচ খেয়ে না খেয়ে চালিয়ে যাচ্ছি। অসুস্থ ছেলে মেয়েদের পড়ানোর ইচ্ছে হলেও অর্থাভাবে তা সম্ভব হচ্ছে না।
সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছয়ফুল হক বলেন, এ পরিবারের চারজন প্রতিবন্ধীকে ভাতা দেয়া হচ্ছে। এর বাইরে আমাদের দেয়ার মতো সুযোগ নেই। তবে মানবিক কারণে আমরা চেষ্টায় আছি সরকার থেকে অন্য সুযোগ-সুবিধা তাদের দেয়ার জন্যে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অমিতাভ পরাগ বলেন, বিষয়টি আমরা গুরুত্ব সহকারে দেখছি। প্রতিবন্ধী পাঁচজনই প্রাপ্তবয়স্ক। সমাজসেবা অফিসের মাধ্যমে তাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা যেতে পারে।
বিডি প্রতিদিন/১০ মে, ২০১৭/ফারজানা