ময়মনসিংহের ভালুকায় একটি সুতা কারখানার বর্জ্যে খামারির বিক্রয় উপযোগী লক্ষাধিক টাকার মাছ মরার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় উপজেলার ভরাডোবা ইউনিয়নের বাকশাতরা এলাকার খামার মালিক কামাল হোসেন বাদি হয়ে ভালুকা মডেল থানায় অভিযোগ করেছেন।
কামাল হোসেনের অভিযোগ করে বলেন, লোকমান হোসেন ও মোতালেব মিয়ার কাছ থেকে জমি ভাড়া নিয়ে আমি কয়েক বছর ধরে এখানে মাছ চাষ করছি। আমার মৎস্য খামারের জায়গাটা কারাখানার কর্তৃপক্ষের দরকার। ন্যায্য মূল্য না পাওয়ায় জমি বিক্রি করছে না জমির মালিকরা। এজন্য খামারে কারখানা কর্তৃপক্ষ গত বছরও বর্জ্য ফেলে মাছের ক্ষতি করেছিল। এ বছর আমার সব শেষ। আমি জমি বর্গা নিয়েছি। তারা আমার উপর শুধু শুধু অত্যাচার করছে। আমাকে পরিকল্পিত ভাবে শেষ করে দিয়েছে। সর্বশান্ত হয়ে গেছি।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মাছের পঁচা গন্ধে এলাকার বাতাস ভারি হয়ে উঠেছে। খামারটিতে ফুলের মত ভেসে উঠেছে বিক্রয় উপযোগী মরা মাছ।
খামার পাড়ের বাসিন্দা বৃদ্ধ মজিদা বেগম জানান, সব মাছ তো মইরা গেছে, মাছের পঁচা গন্ধে বাড়িতে থাকা আমাগর কষ্ট অইতাছে। এইবার ছেরাডারে (খামার মালিক) এক্কেবারে ধ্বংস কইরা দিছে।
জানা যায়, ওই এলাকার মৃত মনির উদ্দিন শেখের ছেলে কামাল হোসেন পেশায় একজন চা দোকানদার। মাছ চাষে লাভ বেশি জেনে জীবনের সমস্ত সঞ্চয় এই খামার বিনিয়োগ করেন। চা দোকানের অল্প আয় ও ঋণ করে যখন খামারের মাছগুলো বিক্রয় উপযোগী করে তোলেন তখনই ঘটে এ দুর্ঘটনা।
অভিযুক্ত কারখানাটির মহাব্যবস্থাপক মোস্তাফিজুর রহমান জনান, এ ব্যাপারে আমি কোনো কথা বলতে রাজি নই।
ভালুকা মডেল থানা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) হযরত আলী জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিলো। বিষয়টা ভাল করে জেনে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/১১ মে, ২০১৭/ফারজানা