৩৩ বছর পার হলেও রাঙামাটি জেলার ভূষণছড়ায় সংঘটিত গণহত্যার বিচার হয়নি। ভূষণছড়ার নিরীহ চার শতাধিক বাঙালী হত্যার সাথে জড়িত খুনিদের দ্রুত চিহ্নিত করে বিচার এবং ফাঁসির দাবি করেছেন পার্বত্য নাগরিক পরিষদের সভাপতি বেগম নূর জাহান।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ১৯৮৪ সালের ৩১ মে শান্তিবাহিনীর রাঙামাটি জেলার বরকল উপজেলার ভূষণছগড়া ইউনিয়ন ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় প্রায় চার শতাধিক নিরীহ বাঙালীকে নির্মমভাবে হত্যা করে। সেদিন আহত হয়েছিল সহস্রাধিক মানুষ। তাই এ দিনকে পার্বত্যাঞ্চলের স্থানীয় বাঙালীরা ভূষণছড়ায় গণহত্যা দিবস হিসেবে পালন করে।
পার্বত্যাঞ্চলে ভূষণছড়া গণহত্যা সংঘটিত হত্যাকাণ্ডগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বৃহৎ এবং ভয়াবহ হত্যাকাণ্ড। তৎকালিন শান্তিবাহিনীর (বর্তমানে জেএসএস, ইউপিডিএফ ও সংস্কারপন্তি নামে পরিচিত) হাতে অসংখ্যবার পার্বত্যাঞ্চলের বাঙালীরা গণহত্যার শিকার হয়েছে। শান্তিবাহিনীর হত্যাকাণ্ডগুলোর মধ্যে রাজনগর গণহত্যা, পাকুয়াখালী ট্রাজেডি, মাটিরাঙা গণহত্যা, ভূষণছড়া গণহত্যা উল্লেখযোগ্য।
পার্বত্যাঞ্চলে এতো গণহত্যার ঘটনা ঘটলেও একটি গণহত্যার বিচার হয়নি বলে অভিযোগ ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলোর। দীর্ঘ বছর পার হলেও আজও ভোলেনি স্বজনহারা পরিবারগুলো এ ভূষণছড়ায় গণহত্যার কথা।
এদিকে রাঙামাটি জেলার বরকল উপজেলার ভূষণছগড়া ইউনিয়ন বাঙালী গণহত্যা উপলক্ষে স্থানীয় বাঙালী সংগঠনগুলো বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছে। গণকবর জেয়ারত, মিলাদ মাহাফিল, বিক্ষোভ মিছিলসহ বিশেষ প্রার্থনা আয়োজন করা হয়।
বিডি প্রতিদিন/৩১ মে ২০১৭/হিমেল