নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে একটি চাঁদাবাজ চক্র ভুয়া পুলিশ পরিচয় দিয়ে এক বিয়ে বাড়ি থেকে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরে চাঁদাবাজরা জিম্মি করে বিয়ে বাড়ীর কনের পরিবারের কাছ থেকে ৭৭ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। এ ঘটনায় ওই চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে রূপগঞ্জ থানায় অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী পরিবারটি।
পরে সোমবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার এ কান্দাপাড়া এলাকা থেকে চাঁদাবাজ চক্রের দুই সদস্যকে আটক করে পুলিশ। আটক প্রতারকরা হল উপজেলার মাসাবো এলাকার সাইফুদ্দিন মোল্লা ওরফে রিপন (৩৩) ও সোহেল মিয়া (৩২)।
ভুক্তভোগী নিরীহ রিপন মিয়া জানান, গত ২৯ জুন শুক্রবার দুপুরে তার মেয়ে সামিরা ইসলাম রুপার (১৮) বিয়ের আয়োজন করেন। এসময় মাসাবো এলাকার সাইফুদ্দিন মোল্লা ওরফে রিপন, সোহেল মিয়া, কান্দাপাড়া এলাকার জিনু, হানিফ, কবির ভান্ডারি, তেতলাবো এলাকার সালামসহ কয়েকজন চাঁদাবাজ নিজেদের ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে সামিরা ইসলাম রুপার বয়স কম বলে প্রথমে বিয়েতে বাঁধা সৃষ্টির চেষ্টা চালায়।
চাঁদাবাজদের কথা শুনে রিপন মিয়া তার মেয়ের জন্ম নিবন্ধন প্রতারকদের দেখালে তারা জন্ম সনদ মাটিতে ছুড়ে ফেলে দেয়। চাঁদাবাজরা রিপন মিয়ার কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। তাদের দাবিকৃত চাঁদার টাকা না দিলে তারা বিয়ে হতে দিবেন না। নিরীহ রিপন মিয়া কোন উপায় না পেয়ে চাঁদাবাজদের ৭৭ হাজার টাকা দিতে বাধ্য হয়।
এসময় চাঁদাবাজ চক্রটি দুইটি মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এছাড়া এ ঘটনা কাউকে জানালে হত্যা করবে বলেও হুমকি ধামকি প্রদান করেন।
পরে সোমবার সন্ধ্যায় রিপন মিয়া এ ব্যাপারে রূপগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ দুই চাঁদাবাজকে আটক করেন।
এলাকাবাসী অভিযোগ করে জানান, এ চাঁদাবাজ চক্রটির কাছে এলাকার মানুষ জিম্মি হয়ে পড়েছে। এরা এলাকার নিরীহ মানুষকে বিভিন্ন প্রতারণার ফাঁদের ফেলে টাকা ও স্বর্ণালংকার লুটে নিচ্ছে। করছে বিভিন্ন কায়দায় চাঁদাবাজি। এ চক্রটি নিজেদেরকে কখানো জিআইজি, কখনো থানার ওসি আবার কখনো ডিবির অফিসার, কখনো কখনো সংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মীর পরিচয় দিয়ে চাঁদাবাজি করেন।
এ ব্যাপারে রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন জানান, এটি একটি ন্যাক্কারজনক ঘটনা। চাঁদাবাজদের দুই জনকে আটক করা হয়েছে। বাকিদের আটকের চেষ্টা চলছে।
বিডি প্রতিদিন/ ০৩ জুলাই, ২০১৭/ ই জাহান