দিনাজপুর-পঞ্চগড় মহাসড়কের কাহারোলে নৈশ্য কোচের চাপায় অটোচালকসহ তিনজন নিহত এবং আহত হয়েছেন ১০ জন। নিহতরা হলেন, অটোচালক শুভ রায় (২০) কাহারোল উপজেলার মুকুন্দপুর ইউনিয়নের ডহন্ডা গ্রামের রবিন রায়ের ছেলে, বৈশাগু রায় (৫৫) একই গ্রামের মৃত উকিল রায়ের ছেলে এবং গোকুল রাম (৪৫) একই এলাকার ঘনপাড়া গ্রামের দোহাই রামের ছেলে।
আহতরা হলেন, অটোযাত্রী দ্বিজেন রায়, রাধা রায়, রামপ্রসাদ ভুটিয়া, কৃষ্ণকান্ত রায়, কাঞ্জিয়া রায়, নীপেনরায় ও দিজেন রায়সহ বাকী ৩ জন কোচের যাত্রী। আহতদের উদ্ধার করে দিনাজপুর এম আব্দুর রহমি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেছে পুলিশ।
গত সোমবার দিবাগত রাত ১টায় দিনাজপুর-পঞ্চগড় মহাসড়কের কাহারোল উপজেলার মুকন্দপুর ইউনিয়নের বটতলা পীরের মাজার সংলগ্ন এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
এ ব্যাপারে স্থানীয় বাসিন্দা মোঃ আনোয়ার হোসেন জানান, বীরগঞ্জ উপজেলার সুজালপুর ইউনিয়নের জগদল গ্রামে হিন্দু ধর্মীয় কীর্তন শেষে সোমবার রাত ১টার দিকে ব্যাটারী চালিত অটোরিক্সা যোগে নিজ বাড়ীতে ফিরছিলেন একদল হিন্দু ধর্ম প্রচারক। পথে দিনাজপুর-পঞ্চগড় মহাসড়কের কাহারোলের মুকুন্দপুর ইউপির বটতলা পীরের মাজার সংলগ্ন এলাকায় পঞ্চগড় হতে ছেড়ে আসা হানিফ পরিবহন (ঢাকা-মোট্রো-ব-১৪৪৪৪১) নামে নৈশ্য কোচ অটোরিক্সাটিকে চাপা দেয়। এসময় ঘটনাস্থলে বৈশাগু রায় (৫৫) এবং গোকুল রায় (৪৫) নামে দুইজনের মৃত্যু হয়।
পরে আহতদের উদ্ধার করে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতেই ডহন্ডা গ্রামের রবিন রায়ের ছেলে অটো চালক শুভ রায় (২০) মারা যায়। এসময় কোচের কয়েকজন যাত্রীও আহত হয়।
এ দুর্ঘটনায় নৈশ্য কোচটি মহাসড়কের উপর উল্টে থাকায় রাতে যানচলাচল বন্ধ ছিল। পরে মঙ্গলবার সকালে কোচটি সরিয়ে নিলে যানচলাচল স্বাভাবিক হয়। এ প্রসঙ্গে কাহারোল থানার এরশাদ আলী বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ উদ্ধার কাজ করে এবং নিরাপত্তার বিষয়ে সার্বিক সহযোগিতা করেছেন।