ঠাকুরগাওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খন্দকার মো. নাহিদ হাসানের বিরুদ্ধে ঘর বরাদ্দে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে গত ২৯ জুন জেলা প্রশাসক বরাবরে নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদ ও তহসিলদারের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করে শাস্তিমুলক ব্যবস্থার দাবি জানান ওই উপজেলার ভবানীডাঙ্গা (গুচ্ছগ্রাম) এর ভূমিহীন তসলিম উদ্দিন।
লিখিত অভিযোগে জানা যায়, সরকারের পক্ষ থেকে অসহায় দুস্থ ও হতদরিদ্র গৃহহীন মানুষের জন্য একটি প্রকল্পের মাধ্যমে রানীশংকৈল উপজেলার রাউৎনগড় ভবানিডাঙ্গা (গুচ্ছগ্রামের) ভূমিহীনদের জন্য ২ মাস আগে ঘড় নির্মাণের কাজ শুরু করেন। যা ইতোমধ্যে কাজ সম্পন্ন হয়েছে। গত ২৩ জুন ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যানকে বাদ দিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদ ও হোসেনগাঁও ইউনিয়ন ভূমি অফিসের তহসিলদার সোলেমান ভবানিডাঙ্গা (গুচ্ছগ্রামে) উপস্থিত হয়ে বেশিরভাগ ভূমিহীন পরিবারকে বাদ দিয়ে ধনী ব্যক্তিদের মাঝে ঘড় বন্টন করেন। এ নিয়ে ঘটনাস্থলে ভূমিহীনদের তোপের মুখে পরেন নির্বাহী কর্মকর্তা ও তহসিলদার। পরে উপায় না পেয়ে ভূমিহীনদের পক্ষে তসলিম উদ্দিন জেলা প্রশাসক বরাবরে লিখিত অভিযোগ করে।
লিখিত অভিযোগে আরো উল্লেখ্য করা হয়- ঘড় বরাদ্দে অনিয়ম ও দুর্নীতি করা হয়েছে। প্রকৃত অসহায় হতদরিদ্র ভূমিহীনদের ঘর বরাদ্দ না দিয়ে উৎকোচ গ্রহণের মাধ্যমে ধনবানদের বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, ঘর বরাদ্দকৃতদের মধ্যে নজরুল'র ১২ বিঘা, মোতালেব ০৫ বিঘা, সমিরুলের ১০ বিঘা, তালেবের ০৭ বিঘা, হাকিমের ১২ বিঘা, আ. রাজ্জাকের ০৬ বিঘা, মো. শরিফের ১২ বিঘা জমি থাকার সন্ধান পাওয়া গেছে। একই গ্রামের মফিজ মুন্সির ছেলে আক্তার ও হামজুর ছেলে সাত্তার এর মাধ্যমে উৎকোচ বানিজ্য হওয়ার সত্যতা মিলেছে।
এ ব্যাপারে খন্দকার মো. নাহিদ হাসানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, প্রাথমিকভাবে যাচাই বাছাই করেই ঘর বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। পুনঃ তদন্তে প্রমাণ হলে তাদের ঘর বরাদ্দ বাতিল করে প্রকৃত ভূমিহীনদের মাঝে বরাদ্দ দেয়া হবে। তবে কতগুলো ঘর ও কত টাকা বরাদ্দ ধরা হয়েছে তা জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন নির্বাহী কর্মকর্তা।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল আওয়াল জানান, অনিয়ম দুর্নীতি ব্যাপারে নির্বাহী কর্মকর্তা ও তহসিলদারের বিরুদ্ধে এক ভূমিহীন আমার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন। এ বিষয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার