দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেছেন, ‘সরকারের দেওয়া ত্রাণ যেন সঠিক মানুষ পায়। ত্রাণ নিয়ে যদি কেউ ছয়-নয় করেন, দুর্নীতি করেন, তাহলে ক্ষমা নাই। প্রশাসনের যারা হেডকোয়ার্টারে বসে থাকেন, তাদেরকে নড়াচড়া করতে হবে। একটা ওয়ার্নিং কিন্তু হয়ে গেছে, হাওরে নানা অবহেলা ও নানা ত্রুটির জন্য ৬১ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আমার ত্রুটি হলে আমাকেও ধরবে। আমিও কিন্তু এর বাইরে না। আসুন, আমরা সবাই ভালো হয়ে যাই।’
মঙ্গলবার বিকেলে সিলেটে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির বিশেষ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, ‘বন্যার্তরা আশ্রয়কেন্দ্রে ওঠেছেন, তারা যতদিন ঘরে ফিরে না যাবেন, ততদিন তাদের সবধরনের সহায়তা দিয়ে যাওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশ দিয়েছেন, একটি মানুষও যেন না খেয়ে মারা যায়। আল্লাহর রহমতে এখনও পর্যন্ত বন্যার্ত কোন মানুষ না খেয়ে মারা যায়নি। চিকিৎসার অভাবে কেউ যাতে মারা না যায়, সে ব্যবস্থাও করা হয়েছে।’
সভায় মন্ত্রী সিলেটের বন্যাদূর্গতদের জন্য আরও ৫০০ মেট্রিক টন চাল ও নগদ ১০ লাখ টাকা বরাদ্দের ঘোষণা দেন। এছাড়া ঢাকায় গিয়ে অর্থমন্ত্রী ও খাদ্যমন্ত্রীর সাথে আলোচনা করে ভিজিএফ কার্ডের মেয়াদ ও সংখ্যা আরো বাড়ানোর চেষ্টার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। মন্ত্রী সিলেটের বন্যাকবলিত এলাকার আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেয়া বন্যার্তদের মধ্যে দুই হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দের কথা জানিয়ে বলেন, এতে আশ্রয়গ্রহণকারীরা অন্তত ১৫দিন খেয়ে বাঁচতে পারবে।
সভায় দুযোর্গ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব শাহ্ কামাল, যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ মহসিন, সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার নাজমানারা খানুম, সংসদ সদস্য মাহমুদ-উস-সামাদ চৌধুরী কয়েস, সিলেটের জেলা প্রশাসক রাহাত আনোয়ার, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট লুৎফুর রহমান, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বদর উদ্দিন আহমদ কামরান, জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শন ও আশ্রয় কেন্দ্রে ত্রাণ বিতরণ করেন। এসময় তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, বন্যায় যারা গৃহহীন হয়েছে তাদেরকে ঘর নির্মাণ করে দেয়া হবে। অসহায় মানুষ ঘরে না ফেরা পর্যন্ত তাদেরকে সবধরনের সহায়তা দেয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/ ৪ জুলাই, ২০১৭/ ই জাহান