বগুড়ায় রবিবার থেকে ওএমএসের চাল বিক্রি শুরু হচ্ছে। জেলা শহরের ৬টি স্থানে এই ওএমএস চাল বিক্রি করা হবে। একজন সাধারণ ক্রেতা ৫ কেজি করে চাল নিতে পারবেন। ওএমএস এর চাল বিক্রি হবে ৩০ টাকা কেজি। সাধারণ মানুষ মনে করছেন ওএমএস এর চাল বিক্রি শুরু হলে খোলা বাজারে চালের দাম কমে যাবে।
জানা যায়, মিল মালিকদের কারসাজির কারণে খোলা বাজারে চালের মূল্য ঊর্ধ্বগতি হয়েছে। বিভিন্ন বাজারে বিভিন্ন দরে চাল বিক্রি চলছে। এই পরিস্থিতিতে সরকারিভাবে বাজার স্থিতি রাখতে এ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। বগুড়া জেলা শহরের ৬টি স্থানে এই চাল বিক্রি করা হবে। এই জন্য ইতিমধ্যে ৬ জন ডিলার নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করে তাদের কাছে চাল সরবরাহের সকল প্রস্তুতি শেষ করা হয়েছে। ডিলাররা প্রতিজন প্রতিদিন একটন করে চাল উত্তোলন করে সাধারণ ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করবেন। আর সাধারণ ক্রেতা প্রতিজন সর্বোচ্চ ৫ কেজি করে চাল কিনতে পারবেন প্রতিদিন। ওএমএস এর চাল বিক্রি শুরুর সংবাদে নিম্নমধ্য পরিবারে আশার আলো দেখা দিয়েছে। খোলা বাজারে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে চাল। সেখানে সরকারিভাবে মাত্র ৩০ টাকা কেজি দরে একজন ক্রেতার চাল কিনতেই বেঁচে যাচ্ছে ২০ টাকা।
বগুড়া শহরের চেলোপাড়া এলাকার নিম্ন আয়ের মানুষরা জানান, ওএমএস এর চাল বিক্রি শুরু হলে অনেক মানুষ উপকার পাবেন। খোলা বাজারে এখন চাল বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা করে। সেই হিসাবে ওএমএস এর চাল কিনলে প্রতি কেজি বাবদ ২০ টাকা বাঁচবে।
বগুড়া জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নূরে আলম সিদ্দিকী জানান, ওএমএস এর চাল বিক্রি শুরু হবে। এর জন্য সকল কাজ শেষ হয়েছে।
বগুড়া জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মাইন উদ্দিন জানান, রবিবার জেলা শহরের ৬টি স্থানে ওএমএস এর চাল বিক্রি শুরু হবে। একজন সাধারণ ক্রেতা ৫ কেজি করে চাল কিনতে পারবেন। ওএমএস এর চাল বাজারে বিক্রি শুরু হলে খোলা বাজারে প্রভাব পড়বে। বাজার ব্যবস্থা স্থীতি আসবে এবং খোলা বাজারে চালের দাম কমে আসবে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার