ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের গাজিপুরের চন্দ্রা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্বপাড় পর্যন্ত কয়েকটি পয়েন্টে অন্তত ২০ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে থেমে থেমে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। এ মহাসড়কের ৬৫ কিলোমিটার সড়কেই অতিরিক্ত যানবাহনের চাপ রয়েছে। এছাড়া টানা বৃষ্টিতে রাস্তায় খানাখন্দের জন্য যানবাহন চলাচল করছে ধীরগতিতে। ফলে ২ ঘণ্টার রাস্তা পারি দিতে ৩/৪ ঘণ্টা বেশী সময় লাগছে। এ কারণে চরম দুর্ভোগে পড়েছে সাধারণ যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিকরা।
গত ৩ দিনের অবিরাম বর্ষণে মহাসড়কের খানাখন্দর বেড়ে গেছে। রাস্তার অনেক জায়গায় বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হওয়া আর অবিরাম বর্ষণের ফলে রাস্তা চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। ভারী যানবাহনগুলো চলাচল করতে গিয়ে রাস্তায় ফেসে যাচ্ছে এবং বিকল হয়ে পড়ছে। পুলিশ রেক্রার দিয়ে বিকল যানবাহনগুলো সরিয়ে নিলেও রাস্তায় যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।
এদিকে বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের এলেঙ্গা থেকে রসুলপুর পর্যন্ত রাস্তার করুণ দশা। যার করণে এ অংশে ১০মিনিটের রাস্তা পারি দিতে ১ ঘণ্টা সময় লাগছে। এছাড়া রাবনা শহরবাইপাস, করটিয়া বাইপাস, নাটিয়াপাড়া, জার্মুকী, পাকুল্লা, আগধল্লা, কদিমধল্লা, মির্জাপুর ও ধেরুয়া রেলক্রসিং এলাকায় থেমে থেমে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।
চন্দ্রা থেকে এলেঙ্গা পর্যন্ত মহাসড়কটি চার লেনে উন্নিত করার কাজ চলছে এবং অতিরিক্ত বর্ষনের কারনে মহাসড়কের সদর উপজেলার রসুলপুর এলাকা থেকে কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গায় কয়েকটি স্থানে খানাখন্দে পানি জমে থাকায় অনেকটা ব্যহত হচ্ছে যান চলাচল।
ট্রাফিক পুলিশের মির্জাপুর থানার পরিদর্শক শাহাদাৎ হোসেন সেলিম জানান, বৃষ্টির কারণে মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে গাড়ির গতি কমে যাওয়ায় কোন জায়গায় যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। তবে দুপুর নাগাদ যান চলাচল স্বাভাবিক হবে বলে তিনি জানান।
বিডি প্রতিদিন/২২ অক্টোবর ২০১৭/হিমেল