কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে উপজেলা চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রেণুুর সমর্থকরা মিছিল করেছেন। এ সময় পুলিশের সাথে তাদের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে একজন পুলিশসহ অন্তত ৪০ জন আহত হয়েছে।
সোমবার বিকাল পৌনে পাঁচটার দিকে পৌর এলাকার মৌসুমী সিনেমা হলের দিক থেকে এবং মির্জাপুর থেকে লগি বৈঠাসহ পৃথক দুটি মিছিল সদর ঈদগাহের দিকে আসতে থাকে। পুলিশ প্রথমে ব্যারিকেড দিয়ে মিছিল আটকে দেবার চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে লাঠিচার্জ করে। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ইট পাটকেল নিক্ষেপ চলতে থাকে। পুলিশ পরে রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে মিছিলকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পুলিশের সাথে সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট সোহরাব উদ্দিনের সমর্থকরাও দেশিয় অস্ত্র সস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় বলে রফিকুল ইসলাম রেণু অভিযোগ করেছেন। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে একজন পুলিশসহ অন্তত ৪০ জন আহত হয়েছে।
পাকুন্দিয়া সদর ঈদগাহে আওয়ামী লীগের দু'গ্রুপের একই স্থানে সমাবেশকে কেন্দ্র করে প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করেছে। রবিবার রাত ১০ টা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত পৌর এলাকা, সদর ঈদগাহ ও এর আশপাশ এলাকায় এ আদেশ বহাল থাকবে বলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পাকুন্দিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রেণু সোমবার বিকালে ঈদগাহ মাঠে স্থানীয় ঈদগাহে সমাবেশ আহ্বান করেন। প্রায় একমাস আগে সমাবেশ ডেকে তিনি ব্যাপক প্রস্তুতিও নিয়েছিলেন। অপরদিকে কিশোরগঞ্জ-২ (কটিয়াদী ও পাকুন্দিয়া) আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট সোহরাব উদ্দিন সমর্থিত ছাত্রলীগ ও যুবলীগ একই স্থানে একই সময়ে সমাবেশ আহ্বান করে। রবিবার সন্ধ্যার পর উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ইট পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এ পরিপ্রেক্ষিতে প্রশাসন রবিবার রাত ১০ টা থেকে পাকুন্দিয়া ঈদগাহসহ পৌর এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অভিযোগ করেছেন, তার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে সংসদ সদস্য সোহরাব উদ্দিন তার লোকজনকে দিয়ে ১৪৪ ধারা জারির পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সম্পর্কে জনগণকে ধারণা দেওয়ার লক্ষ্যেই তিনি এ সভা আহ্বান করেছিলেন উল্লেখ করে বলেন, তার সভায় কমপক্ষে ৫০ হাজার লোকের সমাগম হতো। এ অভিযোগ অস্বীকার করে সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট সোহরাব উদ্দিন বলেন, রফিকুল ইসলাম রেণু এককভাবে সভা ডেকেছেন। তার সাথে আওয়ামী লীগের কেউ নেই। ১৪৪ ধারা জারির সাথে নিজের সম্পৃক্ততা নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, জানমালের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করেই প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করেছে।
সন্ধ্যার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলেও থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
বিডি-প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন