পিরোজপুরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের কাছে বিপুল আগ্নেয়াস্ত্র জমা দিয়ে আত্মসমর্পণ করা সুন্দরবনের দুই বাহিনীর প্রধানসহ ২০ বনদস্যুর নামে অস্ত্র আইনে মামলা দেয়া হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যায় মামলার পর বাগেরহাটের মোংলা থানায় তাদের হস্তান্তর করেছে র্যাব। র্যাব-৮ এর ডিএডি হাবিবুর রহমান বাদী হয়ে এই মামলা দায়ের করেন। মংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইকবাল বাহার চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে, বুধবার সকালে পিরোজপুর জেলা স্টেডিয়ামে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে অস্ত্র জমা দিয়ে আত্মসমর্পণ করে বনদস্যু মানজু বাহিনীর প্রধান মানজু সরদারসহ ১১ সদস্য ও মজিদ বাহিনীর প্রধান মো. তাকবির কাগচী মজিদসহ তার বাহিনীর ৯ বনদস্যু। এসময়ে দস্যুতা ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে ৩৩টি আগ্নেয়াস্ত্র এবং ১৩২৯ রাউন্ড গুলি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন তারা। এসময় র্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
মোংলা পুলিশ জানায়, যাদের নামে মামলা হয়েছে তারা হলেন- মানজু বাহিনীর প্রধান মো. মানজু সরদার (৪৪), জুলফিকার ইজারদার (৪৬), মো. বাচ্চু মল্লিক (৩২), মো. তৌহিদুর রহমান শেখ (৫০), মো. রেজাউল ইসলাম (২৫), মো. পলাশ খান (৩৪), মো. সুময়ানমান ফকির (২৫), মো. জামরুল শেখ (৩০), মো. মজিব ইজারাদার (৩২) ও মো. হাওলাদার আলমগীর (৩৮), মো. হানিফ শেখ (৩২) এবং মজিদ বাহিনীর প্রধান মো. তাকবির কাগচী মজিদ (৩৮), মো. হাসান বিশ্বাস (৩৯), মো. আব্দুল মজিদ (৩০), মো. ইউনুছ শেখ (২৪), মো. হাফিজুল ইসলাম (৩২), মো. আফজাল খান (৩৫), মো. এসকেন খান (৪০), মো. হাসান আলী ইজারদার (৩২)ও মো. মোসা ইজাদ্দার (৩৩)। এসব বনদস্যুর বাড়ি বাগেরহাট জেলার রামপাল ও মোংলা থানায়।
মোংলা থানায় জমা দেয়া অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে ১১টি বিদেশি একনলা বন্দুক, ৭টি বিদেশি দোনলা বন্দুক, ৫টি ২২ বোর বিদেশি এয়ার রাইফেল, ৬টি ওয়ান শ্যুটারগান ও ৩টি কাটা রাইফেল এবং ১৩২৯ রাউন্ড গুলি।
বিডি প্রতিদিন/০১ নভেম্বর ২০১৭/এনায়েত করিম