বগুড়ায় হাত বদল হয়ে ২শ' গজের মধ্যে কাঁচা মরিচের দাম বেড়েছে প্রতি কেজি ৫০ টাকা। রবিবার সকালে হঠাৎ করেই কাঁচা মরিচের দাম কেজিতে ৫০ থেকে ৬০ টাকা বেড়েছে। আমদানি কম হওয়ায় মরিচের দাম বৃদ্ধি বলে ব্যবসায়ীরা জানান। রবিবার বগুড়ার খুচরা বাজারে ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে কাঁচা মরিচ। পাইকারি বাজার থেকে ২শ' গজের মধ্যে ফতেহ আলী বাজারে ১৪০ টাকা এবং শহরের বিভিন্ন স্থানে ফেরি করে ভ্যানগাড়িতে করে বিক্রেতারা ১৬০ টাকা কেজিতে মরিচ বিক্রি করেছে। পাইকারি বাজার থেকে খুচরা বাজারে মরিচের কেজি প্রতি দামের ব্যবধান ৫০ টাকা।
রবিবার শহরের রাজাবাজারে দেখা যায়, হাইব্রিড জাতের মরিচ কেজি প্রতি ১২০ টাকা ও নওগাঁর ছোট আকারের মরিচ ৯০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। অথচ ২শ' গজের মধ্যে পাশ্ববর্তী ফতেহ আলী বাজারে হাইব্রিড জাতের মরিচ ১৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। ওই বিক্রেতারা প্রতি কেজি মরিচ ১১২ টাকায় কিনছেন বলে জানিয়েছেন। তবে রাজাবাজারের রাস্তার অপর পাশ্বে ভ্যানে করে বিক্রেতারা ৯০ টাকা কেজিতে বিক্রি হওয়া মরিচ ১৬০ টাকায় বিক্রি করছে।
রাজাবাজারের ব্যবসায়ী আবু বক্কর বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানান, তিনি ১১২ টাকা কেজিতে পাইকারি হিসেবে মরিচ ক্রয় করে তা এখন ১২০ টাকা কেজিতে বিক্রি করছেন। অপরদিকে পার্শ্ববর্তী ফতেহ আলী বাজারের বিক্রেতা মামুন জানান তারা ১৪০ টাকা কেজিতে মরিচ বিক্রি করছে। ভ্যান গাড়িতে করে তরকারি ব্যবসায়ী গোলাম রসুল জানান, বেশি দামে কিনেছেন বলেই বেশি দামে বিক্রি করছেন।
এদিকে ব্যবসায়ী ও বিক্রেতারা বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানান, আমদানি কম থাকায় রবিবারের বাজারে হঠাৎ করে বেড়েছে মরিচের দাম। বন্যা ও অতিবৃষ্টির কারণে মরিচের ক্ষেত নষ্ট হয়ে যাওয়ায় উৎপাদন কম হয়েছে। আর তাই মরিচের দাম বাড়ছে। গত সপ্তাহে এই কাঁচা মরিচ ৮০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে বলে তারা জানান। তবে ২০ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে মরিচের আমদানি বাড়বে তখন দাম কমে যাবে বলেও তারা আশ্বাস দেন।
বগুড়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানান, জেলার কৃষকরা বন্যার পর লাগানো মরিচ বাজারে বিক্রি শেষ করেছে। আবারও মরিচ চাষ শুরু হয়েছে। বর্তমানে হাইব্রিড মরিচ সারা বছর চাষ করা যায়। ভাদ্র মাস থেকে অগ্রাহায়ণ মাস পর্যন্ত মরিচ লাগানো হয়। চলতি মৌসুমে এ সময়ের মধ্যে আবার আগামজাত চাষ করেছে বন্যা কবলিতরা।
বিডি-প্রতিদিন/০৩ ডিসেম্বর, ২০১৭/মাহবুব