মাদারীপুর সদর উপজেলার ধুরাইল ইউনিয়নের চাছার গ্রামের গ্রীস প্রবাসী হাফিজুল মুন্সীর বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ডাকাতরা ঘরে ঢুকে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার, মোবাইলফোনসহ অন্যান্যা জিনিসপত্র নিয়ে যায়। আজ মাদারীপুরের শ্রীনদী তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার, স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ধুরাইল ইউনিয়নের চাছার গ্রামের গ্রীস প্রবাসী হাফিজুল মুন্সী কিছুদিন আগে দেশে এসে একটি পাকা বসতঘর নির্মাণ কাজ শুরু করেন। অধিকাংশ কাজ শেষ হলেও ঘরের দরজা-জানালার কাজ পুরোপুরি শেষ হয়নি। এই অবস্থাতে তার পরিবারের সকল সদস্য টিনের ঘর রেখে পাকাভবনে থাকা শুরু করেন। বুধবার গভীর রাতে ১২ থেকে ১৩ জনের একদল ডাকাত ওই ঘরের মধ্যে ঢুকে অস্ত্রের মুখে সবাইকে জিম্মি করে বেঁধে ফেলে।
এরপর ঘরে থাকা নগদ ৪ লাখ টাকা, দেড় ভরি ওজনের স্বর্ণালংকার, ৫টি দামি মোবাইল সেট ও অর্ধ লক্ষাধিক টাকা দামের বিদেশী প্রসাধনী লুট করে। এ সময় বাঁধা দিতে গেলে ডাকাতের মারধরে গৃহকর্তা হাফিজুল মুন্সী ও তার ছোট মেয়ে আহত হয়।
হাফিজুল মুন্সী ও তার পরিবারের সদস্যরা জানান, মুখোশধারী ডাকাতরা সবাইকে একটি রুমের মধ্যে জিম্মি করে বসিয়ে বেঁধে রেখে তাদের সামনেই টাকা, মোবাইল, স্বর্ণালংকার, এমনকি বিদেশী প্রসাধনীও নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নেয়। ডাকাত দলের সদস্যদের মধ্যে মালামাল ভাগাভাগি নিয়ে হাতাহাতির ঘটনাও ঘটেছে বলে পবিবারের সদস্যরা জানান।
মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন কুমার দেব জানান, ঘরের জানালা দরজা ধাক্কা দিয়ে প্রবেশের সুযোগ থাকায় সহজেই এমন ঘটনা ঘটেছে। শ্রীনদী তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। ক্ষতিগ্রস্থরা ডাকাতির মামলা করলে সেই অনুযায়ী মামলা গ্রহণ করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার