হাড় কাঁপানো কনকনে ঠান্ডা আর হিমেল হাওয়ায় কাহিল দিনাজপুরবাসী। আজ ভোররাত থেকেই ভারি কুয়াশায় ঢেকে যায় জেলার সব এলাকা। তবে বেলা সাড়ে ১০টার দিকে সূর্যের মূখ দেখা দেওয়ার পর তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে থাকে। তীব্র শীতে এই অঞ্চলের মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা বিপর্যস্থ হয়ে পড়েছে। দিনাজপুরসহ উত্তর জনপদে তাপমাত্রা কমতে কমতে দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।
নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষ পড়েছে বিপাকে। প্রচন্ড শীতে কাজ করতে পারছেন না শ্রমজীবী মানুষ। বিশেষ করে নির্মাণ ও কৃষি শ্রমিকরা পড়েছে চরম বিপাকে। তীব্র শীতে দুর্ভোগে পড়েছে ছিন্নমূল ও নিম্ন আয়ের মানুষ। গরম কাপড়ের অভাবে খড়কুটো জ্বালিয়ে অনেকে কোন রকমে শীত নিবারণ করতে দেখা গেছে। রাতে ঘন কুয়াশাগুলো বৃষ্টির মতো ঝিরঝির করে ঝড়ছে। এদিকে শিশু ও বৃদ্ধারা শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে বিভিন্ন উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে কিংবা আউটডোরে চিকিৎসা নিচ্ছে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, অসহায় ও ছিন্নমূল মানুষের জন্য ইতিমধ্যে দিনাজপুরে ৭০ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে আরো ৮০ হাজার শীতবস্ত্র চেয়ে বার্তা পাঠানো হয়েছে।
দিনাজপুর আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তোফাজ্জল হোসেন জানান, সোমবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত ৩ জানুয়ারি থেকে দিনাজপুরসহ এই অঞ্চলের উপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ শুরুর পর দিনাজপুরে তাপমাত্রা কমতে শুরু করে। গত শনিবার থেকে এই শৈত্য প্রবাহ তীব্র আকার ধারণ করে। ফলে সোমবার কয়েক বছরের রেকর্ড ভঙ্গ করে নিম্ন তাপমাত্রা। গতবছর শীত মৌসুমে দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার