গত শুক্রবার বিকেলে ময়মনসিংহের ত্রিশালে পুলিশের ধাওয়া খেয়ে শুকনি বিলে ঝাঁপ দেয়া সজিব আহমেদ (১৮) নামের এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা। ওই বিলে দুইদিন খোঁজার পর রবিবার দুপুরে কচুরিপনার নিচ থেকে সজিবের মরদেহ উদ্ধার করে এলাকাবাসী। মৃত সজিব পৌরশহরের চরপাড়া গ্রামের সাইফুল ইসলামের ছেলে।
বিক্ষোভকারীদের দাবি, প্রশাসনের কোন উদ্ধার তৎপরতা না থাকা ও পুলিশের উপর ক্ষোভে উত্তেজিত জনতা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ ও থানা ঘেরাও করার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। এসময় এলাকাবাসীর সাথে পুলিশের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
এলাকাবাসি সূত্রে জানা যায়, জেলার ভালুকা জমিরদিয়া মাস্টার বাড়ি একটি ডাইংয়ে কর্মরত সজিব ছুটিতে বাড়ি আসে। শুক্রবার বিকেলে বাড়ির পাশে শুকনি বিলের পাড়ে বসে কয়েকজন বন্ধু মিলে তাস খেলছিল। খবর পেয়ে সন্ধ্যার ঘণ্টা খানেক আগে ঘটনাস্থলে গিয়ে ধাওয়া করে ত্রিশাল থানার এএসআই সোহেলের নেতৃত্বে ত্রিশাল থানা পুলিশ। ধাওয়া খেয়ে শুকনি বিলে ঝাপ দেয় সজিবসহ আরো দুইজন। অন্য দুইজন উঠে পুলিশের কাছে ধরা দিলেও উঠে আসতে পারেনি সজিব। প্রায় ঘণ্টা খানেক অপেক্ষার পর থানায় ফিরে আসে পুলিশ। এরপর থেকে দুইদিন এলাকাবাসী কচুরিপনা সরিয়ে ওই বিলে সজিবের খোঁজ করতে থাকলে রবিবার দুপুর দেড় টার দিকে তার মরদেহ উদ্ধার হয়।
পরে সজিবের মরদেহ কাঁধে নিয়ে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ ও থানা ঘেরাও করার চেষ্টা করে। লাশসহ মিছিল নিয়ে থানার সামনে আসলে পুলিশ তাদের ধাওয়া করে। এ সময় বিক্ষুদ্ধ জনতা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট পাটকেল মারলে পুলিশের সাথে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
সহকারি পুলিশ সুপার (ত্রিশাল সার্কেল) আল আমিন জানান, সজিবের মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশের কোন গাফিলতি থাকলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ ঘটনায় ত্রিশাল থানার এএসআই সোহেল রানা বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
বিডি-প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন