হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার পুটিজুড়ী ইউনিয়নের দিগাম্বর ছিদ্দিকীয়া সুন্নীয়া দাখিল মাদ্রাসার চতুর্থ শ্রেণির দুই ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে মাদ্রাসার শিক্ষক ওয়াহিদুর রহমানের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আজ দুপুরে হবিগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে এ মামলাটি দায়ের করেন নির্যাতিতা ছাত্রী নাছিরা আক্তারের বাবা হাজি মাদাম গ্রামের বাসিন্দা খোয়াজ আলী।
শিক্ষক ওয়াহিদুর রহমান চুনারুঘাট উপজেলা পাইকপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। মামলার বিবরণে জানাযায়, ওই মাদ্রাসার ইবতেদায়ী প্রধান শিক্ষক ওয়াহিদুর রহমান দীর্ঘদিন ধরে মাদ্রাসার ৪র্থ শ্রেণীর ছাত্রী নাছিরা আক্তার ও তাম্মান্নাকে শ্রেণী কক্ষের পিচনে নিয়ে তাদের বুকে স্পর্শ করে যৌন হয়রানি করে আসছে। এ ব্যাপারে ভিকটিম এবং ক্লাসের অন্যান্য ছাত্রীরা প্রতিবাদ করলে শিক্ষক ওয়াহিদুর পরীক্ষায় ফেল করানোর ভয় দেখিয়ে চুপ থাকার জন্য বাধ্য করেন। এক পর্যায়ে এ ঘটনাটি জানাজানি হলে গত ২১ নভেম্বর দুই শিক্ষার্থীরা মাদ্রাসার সুপার ও বাহুবল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাছে শিক্ষক ওয়াহিদুর রহমানের অনৈতিক কার্য্যকলাপের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন। পরে মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সদস্য কাজী জাহাঙ্গীর আলম, খন্দকার রাজা মিয়া ও তছকির মিয়া তালুকদারের সমন্বয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এ প্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটি তদন্ত করে এ সত্যতা পেয়ে তাদের রিপোর্ট প্রদান করেন।
পরে শিক্ষক ওয়াহিদুর রহমানকে সাময়িক ভাবে চাকরি থেকে অপসারণ করা হয়। এ মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আইয়ূব আল-আনছারী জানান, দুই শিক্ষর্থীকে যৌন হয়রানী করা অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হয়েছে। আজ এক শিক্ষার্থী নাছিরা আক্তারের বাবা বাদী হয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। বিজ্ঞ আদালত মামলাটি এফআইআরভুক্ত করে পিবিআইকে তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছেন।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার