খুলনায় সড়ক পথে পুলিশের হয়রানি বন্ধ, ট্যাংকলরিতে বাম্পার ব্যবহারের সুস্পষ্ট নীতিমালা ও আঞ্চলিক সড়ক-মহাসড়ক সংস্কারের দাবিতে কর্মবিরতি শুরু করেছে ট্যাংকলরি শ্রমিকরা। এতে খুলনার তিনটি তেল ডিপো থেকে তেল উত্তোলন বন্ধ রয়েছে। পাশাপাশি খুলনা বিভাগসহ ১৬ টি জেলায় জ্বালানী তেল সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে।
আজ সকাল থেকে বিভাগীয় ট্যাংকলরি শ্রমিক ইউনিয়নের ডাকে এই কর্মবিরতি শুরু হয়। শ্রমিক নেতৃবৃন্দ জানান, রবিবার বিকালে খুলনার গোয়ালখালিতে ফরিদপুর থেকে আসা একটি ট্যাংকলরি আটক করে অন্যায় ভাবে মামলা দেয় ট্রাফিক পুলিশ। এতে আপত্তি জানালে জোরপূর্বক ট্যাংকলরিটি খালিশপুর থানায় নিয়ে আটক রাখা হয়। এ ঘটনা জানাজানি হলে কর্মবিরতি শুরু করে শ্রমিকরা।
এদিকে সড়কপথে পুলিশের হয়রানি বন্ধের দাবিতে আজ দুপুরে বিভাগীয় ট্যাংকলরি শ্রমিক ইউনিয়ন কার্যালয়ের সামনে শ্রমিক জনসভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি শেখ নুরুল ইসলাম। এসময় দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতী চলবে বলে জানায় শ্রমিকরা।
খুলনার পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা পেট্রোলিয়াম লিমিটেডের তথ্য অনুযায়ী, কর্মবিরতির কারণে প্রায় ২০ লাখ লিটার জ্বালানী তেল উত্তোলন ব্যাহত হয়েছে।
বিভাগীয় ট্যাংকলরি মালিক সমিতির সভাপতি সৈয়দ সাজ্জাদুল করিম জানান, খুলনা, যশোর, কুষ্টিয়া, মাগুরাসহ বিভিন্ন এলাকায় জ্বালানী তেল সরবরাহের সময় শ্রমিকরা পুলিশী হয়রানির মুখে পড়েন। এছাড়া ট্যাংকলরিতে বাম্পার ব্যবহারের সুস্পষ্ট নীতিমালা না থাকায় তাদেরকে নানা সমস্যায় পড়তে হয়। শ্রমিক জনসভায় এসব দাবি পূরণের পাশাপাশি আঞ্চলিক সড়ক-মহাসড়কগুলো দ্রুত সংস্কারের দাবি জানানো হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার