কোচিং বাণিজ্য বন্ধ করতে হলে এক্ষেত্রে প্রণীত নীতিমালা ও আইন যথাযথ বাস্তবায়ন, পরীক্ষার প্রশ্নপত্র পাঠ্যবইয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা এবং অভিভাবকদের মানসিকতার পরিবর্তন আনা জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন সংশ্লিষ্টরা।
শনিবার সকালে বরিশাল নগরীর পুলিশ লাইনস রোডের সেলিব্রেশন পয়েন্টে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ডেমোক্রেসি ওয়াচ ইন্টারন্যাশনাল আয়োজিত ‘স্কুল কোচিং : পরিস্থিতি ও প্রস্তাবনা’ শীর্ষক গোল টেবিল বৈঠকে এই মতামত দেন অভিভাবক, শিক্ষকসহ সংশ্লিষ্টরা। বৈঠকে প্রধান অতিথি ছিলেন বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মু. জিয়াউল হক।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ভর্তি পরীক্ষা পদ্ধতি জটিল করে ফেলা হয়েছে। শুধুমাত্র সন্তানদের মান সম্পন্ন স্কুলে ভর্তি এবং ভালো ফলাফলের আশায় অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের কোচিং মুখী করেন। শিক্ষকরা কাউকে জোর করে কোচিংয়ে নেন না। অভিভাবকরা সন্তানকে কোচিং সেন্টারে পাঠাতে বাধ্য হন।
তিনি আরও বলেন, অভিবাবকদেরও এক ধরনের মানসিকতা গড়ে উঠেছে যে তার সন্তানকে নামিদামী প্রতিষ্ঠানে ভর্তি করতে হবে এবং সন্তানকে জিপিএ-৫ পেতেই হবে। এই দুটি অসুস্থ প্রতিযোগিতার সমাধান হলে কোচিং বাণিজ্যও নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে।
বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে বিএম কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর স.ম. ইমানুল হাকিম, অধ্যাপক শাহ্ সাজেদা, সাবেক প্যানেল মেয়র আয়শা তৌহিদ লুনা, অ্যাডভোকেট পারভেজ আকন বিপ্লব, সাবেক ছাত্রনেতা মিলন ভূঁইয়া, সাংবাদিক সাইফুর রহমান মিরন ও স্বপন খন্দকার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বিডি প্রতিদিন/২৭ জানুয়ারি ২০১৮/এনায়েত করিম