দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম হিলি স্থলবন্দরের একমাত্র রেলওয়ে স্টেশন থেকে সকল আন্তঃনগর ট্রেনের বিরতি, অবকাঠামো উন্নয়নসহ স্টেশনটি আধুনিকায়ন করার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন হাকিমপুর পৌর মেয়র জামিল হোসেন চলন্ত।
রেলস্টেশনের কার্যক্রম পুনরায় চালু করা না হলে আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি মানববন্ধনসহ এই রেলস্টেশন দিয়ে ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেয়ার হুশিয়ারি দেন তিনি।
পৌর মেয়র জামিল হোসেন চলন্ত বলেন, জাকজমকপূর্ণ এই হিলি স্টেশনটি এখন জনশূন্য হয়ে পড়েছে। টিকিট বিক্রিও বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। লোকবল সংকটের অজুহাত দেখিয়ে হিলি স্টেশনটিতে অন্তঃনগর বরেন্দ্র ঊর্ধগামী, তিতুমির ও খুলনাগামী রকেট ২৪ নিম্নগামী মোট ৩টি ট্রেনের বিরতি ঠিক রেখে আর অন্য সকল ট্রেনের বিরতি বন্ধ করে দিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। আর এতে ব্যবসায়ী, পাসপোট যাত্রীসহ শিক্ষার্থীরা পড়েছেন বিপাকে।
এই স্টেশন থেকে কর্মরত স্টেশন মাস্টার ও সহকারী স্টেশন মাস্টারকে বদলি করে নেয়া হয়েছে পার্শবর্তি বিরামপুর স্টেশনে। হিলি স্টেশনটির ট্রেন চলাচল নিয়ন্ত্রন করছে পার্শ্ববর্তি পাঁচবিবি ও বিরামপুর স্টেশন মাস্টারগণ। আর স্টেশনটিতে কখন ট্রেনের বিরতি হবে আর ছেড়ে যাবে তা নির্ভর করছে ওই ট্রেনের গার্ড ও চালকের উপর।
মেয়র এলাকাবাসীর দাবির কথা তুলে ধরে বলেন, ঢাকা, রাজশাহী ও খুলনাগামী সকল ট্রেন বিরতি, অবকাঠামো উন্নয়নসহ স্টেশনটি আধুনিকায়ন করতে হবে। রেল স্টেশনের কার্যক্রম পুনরায় চালু করা না হলে আগামী ১০ ফেব্রুয়ারী রেলস্টেশনে মানববন্ধনসহ এই রেলস্টেশন দিয়ে ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হবে।
এসময় হাকিমপুর উপজেলা হিলি আজিজিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আলহাজ মুহা. শামসুল হুদা খান, আওয়ামী লীগের সভাপতি এমদাদুল হক চেীধুরী, পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি নুরুল ইসলাম ডাবলু, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম, সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পারুল নাহার, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার লিয়াকত আলীসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
বিডি প্রতিদিন/৩০ জানুয়ারি ২০১৮/এনায়েত করিম