নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের প্রত্যন্ত কচুবনিয়া এলাকায় রাবার বাগানের পাশ থেকে গলা কাটা অবস্থায় এক রোহিঙ্গা যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রবিবার (১৭ আগস্ট) দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে স্থানীয় স্বজনরা কচুবনিয়া এলাকার রাবার বাগানের একটি কাঁচা রাস্তার পাশে মরদেহটি পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেয়।
নিহত যুবকের নাম নুরুল আবছার (১৮) উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প-১ এর ১৮ নম্বর ব্লকে আশ্রিত এবং জাফর আলম নামের এক রোহিঙ্গার ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নিহত আবছার পেশায় একজন ইজিবাইক (মিশুক গাড়ি) চালক ছিলেন। শনিবার (১৬ আগস্ট) বিকাল ৫টার দিকে পরিবারের সঙ্গে শেষবারের মতো তার কথা হয়। এরপর থেকেই তিনি নিখোঁজ ছিলেন। রাতভর ছেলের খোঁজে দুশ্চিন্তায় ছুটোছুটি করে পরিবার। পরদিন সকালে আত্মীয়-স্বজনরা পার্শ্ববর্তী ঘুমধুম এলাকার রেড়িয়েন্ট গার্ডেন, কুমির প্রজনন কেন্দ্র এবং আশপাশের পাহাড়ি এলাকায় খোঁজ শুরু করেন। একপর্যায়ে কচুবনিয়ার একটি রাবার বাগানের রাস্তার পাশে গলা কাটা অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায় তার নিথর দেহ।
নিহত যুবকের পিতা জাফর আলম কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, আমার ছেলে দিনমজুরির টাকায় পরিবার চালাতো। কারো কোনো ক্ষতি করেনি। অথচ তাকে গলা কেটে মেরে ফেলেছে। হত্যার পর তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ও ইজিবাইকটিও নিয়ে গেছে ঘাতকরা। এটা যে নিছক ডাকাতি না, পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড, সেটা আমি নিশ্চিত।
ঘুমধুম পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ জাফর ইকবাল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, লাশ উদ্ধারের পর প্রাথমিক সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সংশ্লিষ্ট হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। হত্যার পেছনে কী কারণ, কারা জড়িত—তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে দায়ীদের শনাক্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/এএ