নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের তৃতীয় শ্রেণির স্কুলছাত্রী রোকসানাকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় গ্রেফতারকৃত মূল আসামি রায়হান কবির সোহাগের সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ দুপুরে সিদ্ধিরগঞ্জের গোদনাইলের ২নং ঢাকেশ্বরি বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। এ সময় নাসিক ১০নং ওয়ার্ডের সাধারণ জনতাসহ গোদনাইল উচ্চ বিদ্যালয়, গোদনাইল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং বর্ণমালা একাডেমির শিক্ষার্থী মাববন্ধনে উপস্থিত ছিল।
মানববন্ধন থেকে গোদনাইল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী রোকসানাকে ধর্ষণ এবং হত্যার দায়ে গ্রেফতাকৃত আসামি সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসি দাবি জানানো হয়। মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা “রোকাসনার খুনির ফাঁসি চাই ফাঁসি চাই” বলে স্লোগান দিতে থাকে। এসময় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন- নাসিক ১০ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হাজী ইফতেখার আলম খোকন, সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর মনোয়ারা বেগম, চিত্তরঞ্জন উচ্চ বিদ্যালয়ে অভিভাবক প্রতিনিধি কাজী নাজমুল ইসলাম বাবুল, চিত্তরঞ্জন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনি সংকর হালদার, গোদনাইল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লাল মাহমুদ মিয়া, গোদনাইল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক মো. আল আমিন, মুক্তিযোদ্ধা এহসান কবির রমজান, মুক্তিযোদ্ধা আ. সালাম, সম্পীতি সাংস্কৃতিক সংগঠনের সভাপতি মো: আবুল হোসেন, সহ-সভাপতি নজরুল ইসলাম, নিহত রোকসানার বাবা আশরাফুল আলম, মা কারিনা বেগমসহ স্থানীয় ব্যক্তিবর্গরা।
এসময় নাসিক ১০ নং ওয়ার্ড কাউন্সিল হাজী ইফতেখার আলম খোকন তার বক্তব্যে বলেন, তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী রোকসানার মৃতুটি একটি অমানবিক ঘটনা। আমরা এই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত আসামির সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসি কামনা করছি। পাশাপাশি আমরা পুলিশ প্রশাসন ও সাংবাদিকদের ধন্যবাদ দিতে চাই যে তারা মামলা হওয়ার পর ২৪ ঘন্টার মধ্যে আসামিকে আইনের আওতায় আনতে পেরেছেন। এ সময় নিহত রোকসানার মা কারিনা বেগম অশ্রুসিক্ত কন্ঠে মেয়ে হত্যার বিচার দাবি জানান। তিনি বলেন, আমার আর কিছু বলার নাই। আসামিকে যেহেতু গ্রেফতার করা হয়েছে তাই আমরা এখন আমার মেয়ে হত্যার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি। আসামির যাতে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ডে দন্ডিত করা হয়।
উল্লেখ্য, সিদ্ধিরগঞ্জের গোদনাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থী রোকসানাকে গত ২৩ জানুয়ারি বিদ্যালয়ে যাওয়ার পথে অপহরণ করা হয়। পরে ২৬ জানুয়ারি সোনারগায়ে কাইকারটেক ব্রিজের ঢালে রাস্তার পাশ থেকে হাত-পা ও মুখে স্কচটেপ পেঁচানো বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করে সোনারগা থানা পুলিশ। এ ঘটনায় ২৭ জানুয়ারি নিহত স্কুল ছাত্রী রোকসানার বাবা আশরাফুল ইসলাম বাদী হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। যার নং-৫৩। গত ২৯ জানুয়ারি পুলিশ রোকসানাকে অপহরণ, ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় জড়িত আসামি রায়হান কবির সোহাগকে বন্দর থেকে গ্রেফতার করে। পরে সে ১৬৪ ধারায় আদালতে হত্যাকান্ডের কথা স্বীকার করে জবানবন্দী দিয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার