নাটোরের লালপুর উপজেলার কদিমচিলান ইউনিয়নের পাল্লাডাঙ্গা নদী থেকে দীর্ঘদিন যাবত ভেকু মেশিন দিয়ে মাটি কেটে বিক্রি করছে পালোহারা গ্রামের প্রভাবশালী একটি মহল। শুস্ক মৌসুমে নদী পানি শুন্য হয়ে পড়লে প্রতিবছরই তারা ট্রাক ট্রাক মাটি উত্তোলন করে বিক্রি করেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। পালোহারা গ্রামের প্রভাবশালী আব্দুল কুদ্দুস এদের মধ্যে একজন। তিনি ঐ গ্রামের হাবিবুর রহমান হবু'র ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, সরকারের আইন কানুনের তোয়াক্কা না করে আব্দুল কুদ্দুস ও তার সহযোগীরা নদী থেকে অবাধে মাটি কাটলেও তাদেরকে কেউ বাধা দেওয়া সাহস পান না। এদিকে নদী থেকে মাটি কাটা এবং পরিবহনের কারণে নানা দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন এলাকার সাধারণ মানুষ।
সরজমিনে পাল্লাডাঙ্গা নদী এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, পাল্লাডাঙ্গা নদী থেকে ভেকু দিয়ে মাটি কেটে ট্রাক ভর্তি করা হচ্ছে। তারপর নিয়ে যাওয়া হচ্ছে অন্যত্র। এমনকি নদীর পাড় কেটেও মাটি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ফলে নদীর পাড়ের কৃষি জমি ও গাছপালা হুমকির মুখে পড়ছে। অপরদিকে ট্রাকে করে মাটি নিয়ে যাওয়ার সময় রাস্তার ব্যপক ক্ষতি হচ্ছে। পাকা রাস্তায় পরেছে মাটির প্রলোপ । ফলে রোববারের বৃষ্টির পর থেকে শতাধিক র্দুঘটনা ঘটেছে ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানান, মাটি কাটার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। অন্যথায় এলাকার সাধারণ কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্থ হবেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত আব্দুল কুদ্দুস তার বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি নিয়মনীতি জেনেই মাটি কাটছি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য কলিম উদ্দিন কালু বলেন, নদীর ভিতরের নিজস্ব জমি থেকে মাটি কাটলে কোন সমস্যা নেই। আর এখানে সবাই নিজের জমি থেকে মাটি উত্তোলন করছেন।
এ ব্যাপারে লালপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবু তাহির জানান, বিষয়টি সরেজমিনে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার