ঢাকা মেগা সিটি লায়ন্স ক্লাবের সভাপতি ও বাগেরহাট জেলা বিএনপির সহসভাপতি লায়ন ড. শেখ ফরিদুল ইসলামের আর্থিক সহযোগিতায় অন্ধত্ব থেকে মুক্তি পেলেন সমাজের সুবিধা বঞ্চিত সাড়ে ৪ শতাধিক মানুষ। ঢাকা লায়ন্স চক্ষু হাসপাতাল ও খুলনা দিশা আই কেয়ার'র মাধ্যমে ৮ জানুয়ারি থেকে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত সর্ম্পণূ বিনামূল্যে অপারেশন, লেন্স সরবরাহ, ওষুধ ও সেবা দেয়ার পর শিশু থেকে শত বছরের এসব বৃদ্ধ এখন চোখে দেখতে পাচ্ছেন।
বাগেরহাটে রামপাল উপজেলার শ্রীফলতলা পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় গত ৩০ ডিসেম্বর ‘অন্ধত্ব প্রতিরোধ করুন এ স্লোগান নিয়ে বিনামূল্যে দিনব্যাপী চক্ষু শিবির আয়োজন করে ঢাকা মেগা সিটি লায়ন্স ক্লাবের সভাপতি লায়ন ড. শেখ ফরিদুল ইসলাম। এই চক্ষু শিবিরে মোংলা, রামপাল, ফকিরহাট, বাগেরহাট, মোড়েলগঞ্জ, শরনখোলা, দাকোপসহ আশপাশ উপজেলার ৫ হাজার ৩ শত রোগীকে প্রাথমিক চিকিৎসা ও ওষুধ সরবরাহ করা হয়। এই চক্ষু শিবির থেকে ছানি, নেত্রনালী, মাংসবৃদ্ধি ও ট্যারিজম অপারেশনের জন্য প্রাথমিক ভাবে ৬ শত ৬ জন রোগীকে বাঁছাই করা হয়। বাঁছাইকৃত রোগীদের মধ্য থেকে ড. শেখ ফরিদুল ইসলামের আর্থিক সহযোগিতায় ৪ শত ৫৬ জন রোগীকে ঢাকা লায়ন্স চক্ষু হাসপাতাল ও খুলনা দিশা আই কেয়ার'র মাধ্যমে ৮ জানুয়ারি থেকে ৬ এপ্রিল ২০১৮ পর্যন্ত বিনামূল্যে অপারেশন, লেন্স সরবরাহ, ঔষধ ও সেবা দিয়ে সর্ম্পণূ সুস্থ্য করে রবিবার তাদের বাড়ি পৌঁছে দেয়া হয়েছে।
বিএনপি নেতা ড. শেখ ফরিদ ২০০৯ সাল থেকে শুরু করে প্রতি বছর বাগেরহাট অঞ্চলের সুবিধা বঞ্ছিত মানুষের জন্য নিজস্ব অর্থায়ানে চক্ষু শিবির আয়োজন করে আসছেন। এ পর্যন্ত ৫০ হাজারের বেশি চক্ষু রোগীর প্রাথমিক চিকিৎসা এবং ৪ হাজার ২ শতাধিক রোগীর ছানি, নেত্রনালী, মাংসবৃদ্ধি ও ট্যারিজম অপারেশনের মাধ্যমে সুস্থ্য ও অন্ধত্বের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে। সেবাপ্রাপ্ত এসব শিশু ছাত্ররা তাদের লেখাপড়া চালিয়ে যাচ্ছে। কর্মক্ষম রোগীরা তাদের সংসারে আয়-রোজগার করে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। বৃদ্ধরাও আমৃত্যু চোখের আলোতে স্বাভাবিক চলাফেরা করতে পারবেন।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার