শুকুর উদ্দিন নামে এক ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এসি ল্যান্ডের স্বাক্ষর জাল করে ৩০০ এর অধিক জাল খারিজ করার পর হোল্ডিং চালু করে প্রায় ২ কোটি টাকা অবৈধভাবে আয় করেছেন বলে সম্প্রতি দুদকে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগটি দায়ের করেছেন পার্বতীপুর এলাকাবাসী।
অভিযোগে জানা গেছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার গোমস্তাপুর উপজেলার মিয়াপাড়া গ্রামের মৃত মঞ্জুর মিয়ার ছেলে মো. শুকুর উদ্দিন গোমস্তাপুর উপজেলার পার্বতীপুর ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত থাকা অবস্থায় তিনি সহকারি কমিশনার (ভূমি), গোমস্তাপুর-এর বাতিল করা খারিজ কেসগুলো সহকারি কমিশনার (ভূমি)'র স্বাক্ষর জাল করে প্রায় ৩’শরও অধিক কেস জাল খারিজ করে হোল্ডিং চালু করে জালিয়াতির মাধ্যমে প্রায় ২ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। এর আগে ১০৮৯ সালে ভোলাহাট উপজেলার গোহালবাড়ী ইউনিয়ন ভূমি অফিসে যোগদান করার পর পরই জালিয়াতি চক্রের সাথে জড়িয়ে পড়েন এবং ১০৯২ সালে অবৈধ কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়ার জন্য তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
দুদকে দেয়া অভিযোগপত্রে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, পৈত্রিক সূত্রে একটি দেয়াল ঘর ছাড়া আর কোন অর্থ সম্পদের মালিক না হলেও বর্তমানে নিজের ও স্ত্রীর নামে বাড়ি ছাড়াও নাচোল উপজেলার বুড়িপখর মৌজায় অনেক জমি কিনেছেন তিনি। এয়াড়াও অবৈধ পথে আয় করা অর্থ দিয়ে রাজশাহী সিটি করপোরেশন এলাকার বহরমপুরে জমি কিনেছেন এবং রাজশাহী শহরের বিভিন্ন বেসরকারি ব্যাংকে অর্থ জমা রেখেছেন। বিভিন্ন অভিযোগে তার বিরুদ্ধে বর্তমানে বিভাগীয় মামলা রুজু করা হয়েছে বলেও অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।
এব্যাপারে মো. শুকুর উদ্দিনের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা ও আগে বরখাস্ত হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে জানান, তিনি বর্তমানে সদর উপজেলার আলাতুলী ইউনিয়ন ভূমি অফিসে কর্মরত রয়েছেন। তবে সংবাদটি না করার জন্য অনুরোধ জানান। একপর্যায়ে তিনি সংবাদটি না করার জন্য অর্থের প্রলোভনও দেন।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার