নেত্রকোনায় মেয়েকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় ২০০৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর খুন হন বঙ্কিম চন্দ্র সূত্র ধর নামের এক বাবা। ওই হত্যা মামলার রায়ে একজনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ ও ২০ হাজার টাকা অর্থদন্ড করেছে নেত্রকোনা জেলা ও দায়রা জজ আদালত। একই মামলার অপর চারজনকে ৩ বছর করে জেল ২০ হাজার টাকা অর্থদন্ড এবং ২ জনকে বেকসুর খালাস প্রদান করা হয়।
মঙ্গলবার দুপুরে আসামিদের উপস্থিতিতে নেত্রকোনা জেলা ও দায়রা জজ এ কে এম রাশেদুজ্জামান রাজা এ রায় দেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পিপি এডভোকেট সাইফুল আলম প্রদীপ জানান, দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, সদর উপজেলার ঠাকুরাকোনা ইউনিয়নের আসদাটি গ্রামের ওয়ারেস আলীর পুত্র মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত মানিক মিয়া। তিন বছর করে সাজাপ্রাপ্তরা হলেন, একই গ্রামের ওয়াহেদ আলী, মর্তুজ আলী, ইয়াদ আলী ও ছোয়াব আলী। একই মামলায় ওয়াজেদ আলী ও ওয়ারেস আলীকে বেখসুর খালাস প্রদান করা হয়।
জানা যায়, নেত্রকোনা সদর উপজেরার আসদআটি গ্রামের বঙ্কিমচন্দ্রের মেয়ে ঝুমাকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে উত্ত্যক্ত করে আসছিল একই গ্রামের ওয়ারেস আলীর ছেলে মানিক মিয়া। এই ঘটনার প্রতিবাদ করতে ২০০৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর মানিক মিয়ার বাড়িতে নালিশ করতে যায় মেয়ের পিতা ও মামারা। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে বাড়ীর সন্নিকটে মানিক ও তার লোকজন রাত সাড়ে ১০টার দিকে বঙ্কিমচন্দ্রকে বাঁশ দিয়ে মাথায় আঘাত করলে তিনি ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। পরবর্তীতে ১ আক্টোবর নিহতের বোন জামাই কানাই লাল বাদী হয়ে নেত্রকোনা মডেল থানায় মামলা দাযের করেন। দীর্ঘ তদন্ত শেষে পুলিশ ২০০৮ সালের ২৭ মার্চ ৭ জনকে আসামি করে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন। ১৪ জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহন শেষে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত আজ এ রায় প্রদান করেন।
বিডি প্রতিদিন/১০ এপ্রিল ২০১৮/হিমেল