নাটোরে মা তার নিজের ছেলেকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করেছে। রাজিব (২৮) নামে ওই ছেলেকে ঘুমন্ত অবস্থায় দা দিয়ে কুপিয়ে ও হাতুরি দিয়ে পিটিয়ে আহত করা হয়। ঘটনার কয়েকঘণ্টা পর আহত রাজিবকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মঙ্গলবার ঘটনাটি শহরের তেবাড়িয়া এলাকায় ঘটেছে। পুলিশ রাজিবের মা রেজিয়া বেগমকে (৫৫) আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, শহরের তেবাড়িয়া গ্রামের দিন মজুর সোবাহানের ছোট ছেলে দোকান কর্মচারি রাজিব বেশ কিছুদিন ধরে অসুস্থ। রাজিব ও তার বড় ভাই রাজু শহরের মওলা ক্লথ স্টোরের কর্মচারী। অসুস্থ থাকায় রাজিব কাজে না গিয়ে বাড়িতেই থাকে। এনিয়ে মা তাকে প্রায়ই গালমন্দ করে। মঙ্গলবার সকালে সোবাহান ও তার বড় ছেলে রাজু কাজে বের হয়ে যায়। রাজিব বাড়িতেই ঘুমিয়ে ছিল। দুপুর ১ টার দিকে রাজু বাড়িতে খেতে এসে ছোট ভাই রাজিবকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে এবং মা রেজিয়া বেগমকে দরজা লাগানো অবস্থায় ঘরের মধ্যে অবস্থান করতে দেখে।
এসময় সে আশংকাজনক অবস্থায় ছোট ভাই রাজিবকে উদ্ধার করে প্রথমে নাটোর সদর ও পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। খবর পেয়ে সদর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মা রেজিয়া বেগমকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
বড় ছেলে রাজু জানায়, রাজিব ক'দিন ধরে কাজে না যাওয়ায় মা তাকে প্রায় গালমন্দ করেন। তার মা মানসিকভাবে কিছুটা দুর্বল ছিল।
নাটোর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সিকদার মশিউর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রাজিবের মা রেজিয়াকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/১০ এপ্রিল ২০১৮/হিমেল