বগুড়ার ধুনটে নাটাবাড়ীতে হাটের জায়গা থাকলেও স্কুল মাঠে হাট বসানো হয়েছে। শিক্ষার পরিবেশ বিঘ্ন করে হাট বসিয়ে কতিপয় ব্যক্তিরা লাভবান হলেও ক্ষতির শিকার হচ্ছে স্কুলের শিক্ষার্থীরা। স্কুলটির সীমানা প্রাচীর না থাকার সুযোগে স্থানীয় প্রভাবশালী মহল দলীয় পরিচয় দিয়ে নিয়মিত হাট বসিয়ে আসছে। হাটবারের দিনে স্কুলে পাঠদান করা সম্ভব না হলে নির্ধারিত সময়ের এক ঘন্টা আগেই ছুটি হয়ে যায় স্কুল।
বগুড়ার ধুনট উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, বগুড়ার ধুনট উপজেলার গোসাইবাড়ী ইউনিয়নের নাটাবাড়ী গ্রামে ১৯১৮ সালে ৩৩ শতক জায়গায় নাটাবাড়ী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় গড়ে তোলা হয়। শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে ও ১৯৭২ সালে এক একর ৮৭ শতক জায়গায় নাটাবাড়ী দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয় স্থাপিত হয়। ওই বিদ্যালয় দুটির এক পাশে ৮শতক জায়গা নাটাবাড়ী হাটের নামে প্রতিবছর ইজারা দেওয়া হয়। স্কুল প্রতিষ্ঠা হওয়ার আগে থেকে এই হাট বসে আসছিল। হাটটি তখন স্কুলের এক পাশে বিকালে বসত। কিন্তু পহেলা বৈশাখ থেকে ওই হাটটি ২য় দফায় ইজারা নিয়েছেন গোসাইবাড়ী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি জহুরুল ইসলাম, তার ভাই আব্দুল বারিক, নজরুল ইসলাম ও শহিদুল ইসলাম। কিন্তু তারা হাটের নির্ধারিত জায়গায় হাট না বসিয়ে বিদ্যালয়ের মাঠে হাট বসিয়েছেন। প্রতি রবিবার ও বৃহিস্পতিবার দুপুর থেকে শুরু হয় হাটের কেনা-বেচা। হাটের দোকানিরা বিদ্যালয়ের মাঠজুড়ে ও শ্রেণি কক্ষের সামনে দিয়ে পসরা সাজিয়ে বসে। এতে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের যাতায়াত ও খেলাধুলা করতে পারে না।
হাটের ইজারাদার আওয়ামীলীগ নেতা জহুরুল ইসলাম বলেন, বিদ্যালয়ের উত্তর পাশে হাটের নির্ধারিত জায়গা থাকলেও রাস্তার কারণে সেখানে হাট বসানো সম্ভব হয় না। তাই আগে থেকেই বিদ্যালয়ের জায়গায় হাট বসছে। একারণে বিদ্যালয়ে কিছু অনুদান দেওয়া হয়। তবে বিকাল ৪টার পর হাট বসলেও বর্তমানে ধান কাটার মৌসুমে আগে থেকেই হাট বসছে। এতে শিক্ষার্থীদের কোন অসুবিধা হচ্ছে না বলে তিনি দাবি করেন।
বগুড়ার ধুনট উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এসএম জিন্নাহ্ জানান, বিদ্যালয়ের জায়গায় হাট বসানোর কোন নিয়ম নাই। বিষয়টি সরেজমিনে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বগুড়ার ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজিয়া সুলতানা বলেন, বিদ্যালয়ের মাঠে হাট বসিয়ে শিক্ষার পরিবেশ বিঘ্নিত করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার