বগুড়া শাজাহানপুর উপজেলার ভ্যানচলক মজনু মিয়ার (৩৫) লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার ধাপপাড়া গ্রামের সাবরুল দিঘি সংলগ্ন তালগাছের নিচ থেকে তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে।
থানা পুলিশ সদস্যরা ধারণা করছেন, মজনুকে দুর্বৃত্তরা মাথার পেছনে আঘাত করে হত্যা করে ফেলে রেখে গেছে। তার মাথায় একটা আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
নিহত মজনু শাজাহানপুর উপজেলার সাবরুল তালপুকুর পাড়া গ্রামের মৃত মাহমুদুল হাসানের ছেলে। নিহতের প্রথম সন্তান সিজান (৯) এবং স্ত্রী সাজেদা বেগম ৯ মাসের গর্ভবতী।
নিহতের স্ত্রীর বড় ভাই জাহাঙ্গীর আলম জানান, শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ৮টার দিকে খাবার খেয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। এরপরে তার আর কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি। আজ সকালে তার লাশ পাওয়া যায়।
এলাকাবাসী জানায়, মজনু মাঝে মধ্যে গাঁজা সেবন করত। যেখানে মজনুর লাশ পাওয়া গেছে সেই এলাকায় বাহিরের লোকজন খুব একটা যেতেন না। মাদক সংক্রান্ত অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে মজনু নিহত হয়ে থাকতে পারে।
বগুড়ার শাজাহানপুর থানার ওসি জিয়া লতিফুল ইসলাম জানান, মাথার পেছনে শক্ত কিছু দিয়ে আঘাত করে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে। লাশ ময়নাতদন্ত শেষে মৃত্যুর কারণ নিশ্চিৎ হওয়া যাবে। জড়িতদের চিহ্নিত করে গ্রেফতারে পুলিশ মাঠে কাজ শুরু করেছে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার